১.
দরজায় পরিচিত হাতের কড়াঘাতে
তুমি তুমি শব্দে জেগে ওঠে
রাতজাগা পাখি
রাত্রির গহবরে কে
বাজায় এমন ভায়োলিন
কার হাত ছুড়ে দেয় এমন
গোপন বাসনার তীর
বিভক্ত হয়ে পড়ে আছে
অনাঘ্রাত মহুয়া মাতাল
কড়াঘাত বলে করতল দ্বিধা সহেনা।


২.
মাঝেমাঝে উকি দেই আপন আয়নায়
দরজার ওপারে কেউ নেই
ধুধু আসবাব আর একান্ত পোষাক
আলনার পিছনে বাৎসরির অন্তর্বাস
বয়ামে ভরা রাণীর খুচরো পয়সা
গুনতে ভুলে গেছে তর্জনী
বারান্দায় বাসি রোদের বাহাস
ঘূর্ণি পাখা থেকে খসে পরে পোষ্য বায়ু
পাজরে হাড়ে নিয়মের শ্বাসমূল
ভাত ঘুমে গৃহস্থ চড়ুই।


৩.
তোমার সামনে এসে দাড়ালে
আমি এতটা আনত হয়ে যাই
যেন তুমি কোন ঈশ্বরী
হাতের দশটি আঙুল নির্মাল্য
হয়ে তোমার দিকে প্রার্থন করে।