এখানে কারো ছায়ার পাশে প্রার্থনার ভঙিতে
বাতাসে ঝুকে থাকে মাতৃ-গাছ,
শেষ বর্ষা থেকে কাল যাপনের দিকে
কানকোয় টেনে নিয়ে যায় মাতৃ-মাছ।
সংযম থেকে ফুরায় ফলের আভা
বাতাসের সৃংগারে অহেতুক রেত:পাত।


মানুষ এক দিক শূন্য পাগল!
কেবল ছোঁটে নিজ থেকে ভিন্ন বাহানায়
সাপে অভিসাপে দেয়ালে ঢাকে নিজেরে
কি এমন ঘন্টা বাধা আছে পাথর মন্দিরে
সুর দিলে তাতে ফেরে প্রতিধ্বনিত ব্যথা;


আরসির আদলে শিশু মুখ ধাতুর প্রলেপ,
মায়েদের ছায়ার পাশে শুরু হয় ভোর
পিতারা নিয়ে আসে বিষন্নতার ভার
চিকিৎশার সিমান্ত পেরিয়ে আসে তার
দৈবচয়িত ঋতু;
জোড়া স্তন থেকে ঝরে শিশুর অমল ক্ষুধা
পারঙ্গম ঠোঁটের গভীরে তৃষ্ণার জ্বর।


চৈতী দুপুর আরো ঘন হলে শিশুর গাঢ়ো ঘুমে
শীত রাতের বনিকেরা চলে যায় পশমের উৎসে
বহুদিকের অশ্রুত প্রবাদ থেকে পুরোনো
আধোমলিন কার্পাস ফাটে ধুনকারের টংকারে


দরজার টোকা থেকে গড়িয়ে যায় রূপার আনি
মহিষের কালো লোমে নৈঃশব্দের ডুবোচর
ফুরায় যবন দেশে মাহুতের পরোয়ানা
নদীও ফুরায় তবে বুকে নিয়ে বহু অপচয়


বিবিধ দল উপদলে  তৃণভোজী আর তৃণেরা
চিনে নেয় পরস্পরে,পুষ্পক অপুষ্পকের
ক্লোরোফিলে কি এমন সালোকসংশ্লেষণ


পায়ের ছাপ বিনিময়ে জীবিকার আড়ালে
যে বনিক রেখে গেছে তেমাথার শব্দজট
পথ বহু দিকেই যায় নাকি ফিরেও আসে
বাহুতে সোনার কবজ বাধা মায়েদের স্মরণ
হেম ধাতু থেকে কত দূর যেতে পারে সেহরাব রুস্তমে।