দরজার ওপাশে বৃদ্ধা সুরুজ কাল ভৈরবী আঁকে
যজ্ঞাগ্নিতে তোহাইতের কাদা ঢাকা মুখ
হোমানলে পুণ্য আহুতি ঢালে।


নাফ পাড়ের যূপকাষ্ঠে সানবটি মিশকালো পলিশ
বলিদানে জাহেলর হাত করবে না উনিশ-বিশ
মেষ-পাল ফিরে যাও,
ওখানে তোমাদের বন ফায়ার ক্যানিবাল।
হাতের যূপকাষ্ঠে স্তনাগ্র সিসা ছুড়ে দিবে
যুবতীর কনক চূড়ে, কথা শোনো ফিরে যাও।
এটো খুন ললাটে,
ভাই ফোঁটা চুকে গেছে নাফ-নদী জলে।
গেরুয়া ফেটি বাধা ভাই,
বোনের অলাত পাজরে গেথে দেয় অহিংস ত্রিশূল। 


হাসিবা আর তোহাইত যারা তারা নাফ-নদীর লঘূ পানা
লাল পদ্ম বুকে নিয়ে ভেসে রবে বিধির রহমে
একদিন ভেসে ছিল আদিম পুরুষেরা
হাজার বছর আগে,সেই থেকে লহু ঝরে নাফ নদী জলে।
বৃদ্ধা সুরুজের আভা মূল থেকে
বোদাওফায়ার আত্মা ডানা মেলে,
সমস্ত কালা আদিম সমস্ত পদ্মপানা মুখগুলি
সাফ করে ভাসিয়ে দাও নাফ নদী জলে।


তাড়া খেয়ে যারা সভ্য মানুষের সীমান্ত
কাঁটা বেয়ে পৌছাবে আহত পশুর মত!
তাদের সব টুকু আলো নিভে যাবার আগে
পকেটে খুলে রাখা জিহবা তুলে নিয়ে
কোরাশ তোলো, নদীর ওপারে যারা
তারাও আমাদের জন,
রোহিঙ্গা আরাকান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান
ভিন্ন রংয়ের কাপড়ে মোড়া ধরণীর সন্তান।