আমার কিছু একটা ছিল সব কিছুতেই, আমার মাঝে
একটা আমার আমি ছিলাম সকাল সাঝে,
সেই আমি আর পাইনা খুজে হাতটি বাড়াই চক্ষু বুজে
কত রঙ্গিন ছবি আজও ভাঙ্গে বুকের পাজর মাঝে
কত শত ব্যথার মেঘ জমে আছে মনের খাজে।


পাইনি কোন প্রেমের চিঠি তাও ভাবিনি একলা আমি
আমার একটি মাঠ তো ছিল
একটি খোলা চিঠির মত,তার চেয়েও একটু বেশি
একটা সবুজ মাঠে একটা অবুজ বালক ছিলাম খুবই
সে বালক মন আজও খোজে হারানো সে পত্র খানি।


বাঁশের নাটাই লাল ঘুড়ি টা আমার ছিল
পূব আকাশে পূর্ণিমা চাঁদ ঝুলতো যেমন
তেমনি কত সন্ধ্যে বিকেল উড়তো ঘুড়ি থির বাতাসে
সেই ঘুড়ি টা ছাড়লো নাটাই
কোন আধারে খুজবো তারে,
আমায় ছেড়ে গোত্তা খেল কোন সুদুরে।


একটা সাধের ভুলু ছিল সাদা কালো
হাটতো আমার পায়ে পায়ে আমার ছায়ার সঙ্গে মিশে
বসতো এসে কাছটি ঘেষে,
এক সকাল সব হারানোর দলে ভিড়ে
আমায় ছেড়ে জুটলো কোন সঙ্গি খুজে
সেও আজিকে তার রংয়েরই ধুসর স্মৃতি।


গন্ধরাজের গাছটা ছিল ঘরের কোনে চুপটি করে
আপন করে রাখতো আমায় আমিও তারে,
সে আমারে যায়নি ছেড়ে আমিই তারে কথা দিয়ে যাইনি ফিরে
আর কি হবে একটু পরশ একটু আদর পাতার ভিড়ে
তার বুকেতে আজও কি সেই দুধেল রঙ্গের কষ্ট বাড়ে,
আমার ফেরার পথটি চেয়ে একটি দুটি হলুদ পাতা আজও ঝড়ে।


একটি মেঠো পথ ছিল ঐ পুব মাঠেতে
আমার পায়ের নগ্ন পরশ পড়তো কত তার বুকেতে
আজও বুঝি তেমনি থাকে বর্ষা শেষের শরৎ শুরুর রাত প্রভাতে,
একটি বালক আসবে বুঝি হাটবে বুঝি তাল মাতালে
সে আসাতে তার বুকেতে সাজায় দারুন করুন ধুলি।


আমার কিছু রাত ছিল তার সন্ধ্যা তারার সাজ ছিল,
তার আধারে একটু ভিতী, অনেক জোনাক সাহস জ্বেলে
দক্ষিণ ঘরের পাছদুয়ারে ফুটতো তারা মাতাল করা হাস্নাহেনার
ডালে ডালে,
রাত্রি বারে একটু করে, আজও তারা জ্যোৎস্না ছড়ায়
আমার মরা নদীর চরে,
সে রাতগুলি আজও খুজি নির্ঘুম কোন রাতের মাঝে।


আমার কিছু অশ্রু ছিল লাজহীনা সে চোখের কোনে
মনের সুখে কাঁদতো বালক তুচ্ছ কারন অকারনে
সে কান্না কি এতই সহজ কাঁদবো আমি যখন তখন
তুচ্ছ কিটের দোষের মাঝে কান্না লুকাই একটু লাজে
কান্না হারা সেই আমি টা গুমরে মরে বুকের মাঝে।


একে একে ডাকছে তারা তাদের ভিড়ে
আবার আমি মাতবো খেলায় ইচ্ছে করে
একটু একটু বাড়ল শরীর বাড়লো নাতো মনের শরীর
ইচ্ছে ঋনের বাড়লো বোঝা দিনে দিনে
সেই আমি কে এই আমি টা রাখলো কিনে
আর হবেনা সুদিন মাঝে তোমার ফেরা
তোমার বালক মিথ্যে মায়ার জালে ঘেরা।