শেষপর্যন্ত ঝড়েই গেল সব, পাতা বাকল
ফুল আর সকল...
এখন আমি চির পত্রহীন, এখন আমি রাত
দিন শুধুই বর্ণহীন! প্রাচীন আধার অমাবস্যায়!


এই তো সেদিন আমার পাতার ফাঁকে
ঝলসা তো সুচালো রোয়া,শিরায় শিরায়
ধাবমান অগুন্তি শুয়া পোকা, তার পর
সোনালী আঁশ নিয়ে সাধ্যসাধনার কুণ্ডলিত ফাঁস।


এ কাষ্ঠল বুকের প্রাচীরে হাতুরী
পেরেকঠোকা জ্বলজ্বলে নাম সাইনবোর্ড
আমার পরিচয় আর আঠালো কালশিটে
যন্ত্রনায় আমার জানান।


আদর রোদ চাঁদনি চাদর  কাধে গায়ে
ডালে টুকরো প্রদীপ মেখে, আলোর ডালা
আচঞ্চল দক্ষিণ হাওয়ার ঘর ছিল বসিবার এ দ্বারে।


বর্ষা রেণু পরাগ রঙের রামধনু টা  ঝুলতো
আমার পুর্ব ডালে আষাঢ় কালে,
আমার পাতার কেশে রাত্রি জাগা মেঘলা পরশ।


আমার বাকল তকে পাতার চুলে ঋতুবতী
ফুলে  বৃষ্টি মেয়ের  আলুথালু লজ্জা
লাজের অবোধ আদোর।


জীর্ণা এই কাষ্ট বুকে কাঠ পোকারা থাকবে
এসে সুকরুন আলপনার কাব্য লিখে,
থাকবে এসে ব্যস্তবাগীশ কাঠ পাখিটার
ঠোকায় জাগা গর্ভ মাঝে শালিক দুটি।
এক বৈশাখে রুদ্র নাচের হিংস্র তালে
উঠবে কেঁপে পাতাল তলের আকরানো
মোর ধৈর্য সকল।