আমার হাতে হাত ছিল কই ছেড়া ঘুড়ি
খুজছে নাটাই চোরা গলির রূপ আধারে,
চলছে সময় উল্টো কাঁটায় খুলছি দোকান
প্রেম পসরায় জীবন যখন তেরোর ঘরে।


সেই যে তখন ঝুলতো বেনী খুব সলাজে
আলাতা কিনি মোড়ের দোকানটায়,
আদুল পায়ে ধুল মাড়িয়ে সকাল দুপুর যায়
গড়িয়ে হেথায় সেথায় ঘুরছি কত সারা পাড়াময়।


যেই আমাতে জোয়ার এলো ধুলো মাখা
পথটি গেল, নির্বাসনের খরগ এলো সানাই বাঁশির সুরে।
চার দেয়ালের পত্র এলো মিইয়ে গেল ইচ্ছে
গুলো, স্বপ্ন ভাঙ্গে বুকের বালু চরে।


এপার বাড়ি ওপার বাড়ি ছিড়লো নাড়ি
ভাঙ্গলো যখন শঙ্খ চুরি, এখন আমি
পক্ষহীনা আস্তাকুড়ের এটো গন্ধময়।
বাসি ফুলে হয় কি পুজা মনের মন্দিরে
সেজেছি এক রাত পূজারি নষ্ট দেহের ভিড়ে
সে দেহেতে ধুকে ধুকে সময় থমকে যায়।


আজ এখানে রাত্রি নামে, প্রেমের নামে
শরীর কিনে, আত্মা ছাড়া শরীর বেচে রয়।
এখন আমি অঙ্গ ধুয়ে অঙ্গ সাজাই জীবন জিবিকায়,
ভোরের আলোয় জীবন ধুলিময়।