গভীর শব্দহীন চরাচর ভেদকরে বয়ে চলে
অগুন্তি নিশি পাওয়া পতঙ্গ
নারকেল পাতা চেরা, দুধ জোছনা
পড়ে থাকে ঝড়া পাতার করুন বুকে।
তার পর ডুবজল ভেঙ্গে দেয় পূবাল বাতাস
ঘাস আঁকা জমিনে বট ফল রং নয়া রোদ
বেড়ে যায়।
সোদা ঘ্রাণ মেখে নেয় কচি লাল ঠোঁটে
বালিকা মন কোন এক পাখি
সব পাখি বালিকা চির কাল, কালো ঠোঁট
অথবা লাল।
মৃত্যুরা এসে যায় হামেশায় পিপড়ার পায়
অথবা ডানায়
সবকিছু ধুয়ে যায় সোনা রোদ জোছনায়
মেঘেরা গলে যায় শিরিষ গাছের তলায়
সেখানে, সবখানে জীবনের কোলাহল
গলাগলি করে বয়।


পাকুড়ের ভাঙ্গা ডাল , জীবন শিকড় মেলে
দেয় জমিনে
নতুন জীবন রূপ বেড়ে যায় অলখে
সে খবর পৌছায় বাতাসে
এক ঝাক জোনাকি জ্বলে যায় স্বর্ণ লতার কাঁখে।
গল্পরা এক নয় ভুবনে,
মাঠে বনে পাখি আর পতঙ্গের জীবনে
এক সুরে গেয়ে যায় কত গান সময়ে,
ফুল ঝড়ে সকালে মরা রোদ উবে যায় বিকেলে
ধুলার চাদর মোড়া কোন এক গাঁয়ে
বিকয় অনিঃশেষ প্রকৃতি ও প্রেম।