শিবু পাল,তোমার শালিক পাখি আজ খাঁচা ছাড়া,
তোমার সে খাঁচাও পাখি হারা,
তুমিও তো সব হারাদের দলে।
তোমার কি মনে আছে শিবু পাল?
থাকারি তো কথা,
জল জঙ্গ ভেঙ্গে নৈদের পুকর সাতরে
কাদা মাখা পায়ে উঠেছি হিজলের গাছে
কোন এক পাল ছেড়া নাবিক যেন উঠে যায়
অবাক দক্ষতায় মাস্তুলে,
অথবা সাপের বুকের চলন
তেমনি শীতল শীকারি শিবু পাল।
দুই হাতে দুই পাখি বুকের পাজরে
হিজলের বুক
থেমে থেমে নেমেছিল পিতার যতনে।
তুমি কি নিয়েছি ঐ পাখির পিতার দাবি?
কচি কন্যা পাখি দিয়েছি যেমনি দেয় কোন
এক পিতা অর্ধাঙ্গেরর হাতে।
এমন ভাবে দিলে তা যেন আমাই সাধনার
ফল।
দিয়ে ছিলে নিজ হাতে বোন বাঁশের খাঁচা
দুই টাকার রং মেখে দিয়ে ছিলে
আর বলেছিলে যতনে রাখিস
আরও কত কি বলেছিলি পথে যেতে যেতে।
সেই তোমার মাথা হতে উঠে যায় জননীর
হাত বুক পিঠ, সব উঠে যায়।
যে তুমি পাখির ঘর বাধো সেই তুমি ছেড়ে যাও ঘর
তোমার বুকের জমিন কাঁটা তারের এপার
আর ওপার।
সেই শিতের সকাল যা ছিল আরও শিতল
তোমার কাছে,
আমার কাছেও নয় কি?
তোমার চোখের জল কতটা শিতল শিবু পাল?
কতটা অসহায় জেগে ছিল তোমার চোখে?
যখন তোমার জন ছাড়িল সহস্র সময়ের আশ্রয়।
শিবু পাল চলে যায় আমার জমিন ছেড়ে
তারও কি জমিন নয় এই বাংলায়?