সাদা গোলাপ, ভোর হতে হতেই সূর্যের মতন
তোমার পবিত্র দেহ মন্থিত পুন্য,
গেলাস ভরে  কাঁটার মত তীক্ষ্ণ
বাঁকানো নখের সৌন্দর্য উচিয়ে ধিবরের টোপ-
শেষ শিশির বিন্দু উবে যাবার পড়েও
রক্তের প্রতীক্ষায় সশস্ত্র পাহাড়ায়।
তরল নিঃশ্বাসের ঘ্রাণ পশ্চিম জানালায়
বেটপ খয়েরি পর্দায় সুপারি কাঠের লাগাম ভেদ করে
সুবাসিনী শব্দ পাট ভাঙ্গা শাড়ির জমিনে
রমণীয় দেহযষ্টির ভাজে রেণুর প্রলেপ
শুভ্রার  লাজ-বন্তি ঠোঁটে।
তোমার আবেশি প্রতিবেশী লাজুক বেশ
অবগুণ্ঠন জোছনার ভাজে ফোটে।
যদিও বা কেমলতা তার তোমার আকার,
কাঁটার ভার পাহারা শূন্য জীবন জোটে
আঁধার অথবা জোছনার আঁধারে,
তারেও জানালার লাগাম পথ-হারা রাখেনি
জৈষ্ঠের রাতে।
শুভ্রার বোনেরা রাতের, চাঁদের, জ্যোৎস্নার মেয়ে
মেয়েলি ডায়েরি লিখে সুগন্ধি কলমে
বেনামি স্বাক্ষরের চিঠি ভাসে জোনাকির পথে
পাখার পরশের পড়ে উড়ে আসে
রাতচারী যুবকের কুর্তার পকেটে।
যাকে তুমি রাখনি হিসেবের খাতায়
তোমার পাতায় ঠোঁটে কলাপাতা রং জমিনে
ছড়ানো সবুজ ভোর তাদের অপেক্ষায়
সে মেয়েদের রাত জাগা রূপ রাত্রির পাহারায়।