স্পর্শের বাহিরে যে নদী বোধের অতলে,
যে ব্যথা বয়ে নিয়ে যায় প্রথম প্রহর থেকে।
সোনালি উল্কি আকাঁ পৌষের মাঠ
শিকড় থেকে তুলে আনে তাকে।
আগ্নেয়গীরি ঢেকে যায় তুষার ঝড়ে।
প্রকাশে নিজেরে সূর্য ঋতুভেদে।
তেমনতরো পাল্টায় নদী।
কাকতাড়ুয়ার প্রয়োজন যদিও বা পড়ে
দাড় করিয়ে দেয় জমিনের বাঁকে।
লাগামহীন পাগলা ঘোড়া সে
কে কাহারে রোধে? কে বাঁধিবে তারে?
ধ্যন যদিও ভাঙ্গিবে পরাশরে।
নিজ হাতে রোপিক বীজ ভেসে যায়
নিজ নদী জলে।
এ পাশে ভেজা মাটি ওপাশে ধুল
আজলা জলে রোপিত বকুল।
পুরানো সুবাস তার,পায়ে পায়ে নেমে আসে
সেই মেয়ে নিজ নদী জলে।
দরজায় দাড়িয়ে আঁধারের প্রতিরূপ
শিকড়ে শিরায় বনবাসি গাছের অহম্
কর্ণের অগোচরে গহন গাথা ভাসে,
বনের শব্দান্ধ নদী জলে।


সেই নদী এক বুক জল নিয়ে ক্ষন বদলায়।
নিয়তির অলখ সুতার টান তারে নিয়ে যায়
নিজ দেন-দরবার,নিজ্ সাথে সেই নদীর।
দিন শেষে দর্পনে রূপ খুঁজে পাথর জল,
ঢেউয়ের মত পড়ে আছে দুই পাড়ে।
ধুলার পরে, পলির পরে লেখা আছে
জলজ আখরে।