আগর মাখানো রাতে আয়াত পাঠ করো
বোনের জড়ানো সুরে।
মহা-পুস্তকের লাল মখমল খুলে নুখতার
হরফ রেহেলের উপর।
অপার্থিব দো'য়ার উপাত্ত উঠানে, ময়দানে,
চাঁদ অথবা আঁধার আজ খেয়ালের বাহিরে।
ছেড়া সলতে আতর গোলাপে মাখামাখি
ভাজ খোলা সফেদ কাপড়ে নিরবদ্য মোড়া।
গোপন গোছল শেষে সার সার নিরবতা।
কাঁধের উপর শেষ সমাচার যার
তার কাঁধেও ছিল সুহৃদ হাত।
আজ শেষ বার তুলে নাও তারে
ধির পায়ে পায়ে। ক্ষিন আওয়াজ বিশ্বাস্য
জিহবায় নিয়ে যাও আদিষ্ট বিছানায়।


সোনালুর তলে, মাতামহ মালা-ধান বুনে ছিল যেই চরে
আকন্দ ফুলের সুপ্রচুর ফলন ঘেরা জমিন
ক্ষেতের নিশানা আঁকা কেতকীর বন।
রাখো এই খানে।
বাবলার ডালে ঝুলে অলস কুয়াশা
কার যেন বৈধব্য অপেক্ষা।
প্রবোধ আবহের বায়ু মাঠ থেকে শুষে নেয়
চৈতালি রোদ। জিরয় শেষ সফর ফেরত নাবিক।
হলুদ সোনালু ঢেকে দেয় প্রস্তর হরফের বুক।
কচি পাতা বউ কারে যেন ডাকে ঘুঘু স্বরে ভীষন দুপুরে,
এই খানে তাকে রেখ গেছ যারা,
নিয়তে রেখ যেমন রেখেছে পৌষের ধান তারে
দুয়ারে জোনাকির ভিড় আলোর প্রার্থনা শান্তির।
ভিড় করে এসো প্রিয় সুহৃদ সখা,
দিয়ো তবে কিছু ধুলা বুকের উপর
যা ছিল তোমার করোতলে জমা।
শ্রেষ্ট সুহৃদ আঘ্রান খুজি তোমার আঙুল
ছোয়া মাটির তছবির দানায়,
ফিরবার চল্লিশ পথে হাজার কদম
ঘাসের জায়নামাজে, আমার ইবাদত খানায়।