মদিরা চোখে চাঁদ মগ্ন নেকড়ে  
লেবু বন আর চিনি চম্পার মাঠে,
যৌক্তিক সভা নৈমিত্তিক।
নখর তুলিতে আঁকে বিমূর্ত মুখচ্ছবি,
অংকন শেষে বিজয়িনীর ক্ষন গননা।


বালি পুকুরের খেরো খাতা
কামিনি ফলের দিনলিপি লিখে
মুখে মধ্যে লাল ফল জল,
জলের ভাজে ফোটে।পিঁপড়ার পিপাসা
নদীর ওপারে। কাকরে কাকরে পিঁপড়েরা
মালা গাঁথে।


গোপন মহুয়ার মোহে ভালুক যুবকের নির্ঘুম রাত।
ঘুম থাকে মহুয়ার চোখে বিম্ববতী ঠোঁটে
পান করো মহুয়ার কোমল ঠোঁট।
ওগো মহুয়া মেয়ে রাত গেলে রাখিবে তোমায় কে?
বোটা ছিড়ে নামো যুবকের কোলে।


মাছি পোনা পিঁচুটির টানে বিনম্র কোরাসে
উজান বাতাসে পাল তোলে।
মহিষ চোখের অর্গল খোলো
কেতুর লেজ আজ মহান।
মহিষাসুর মক্ষিকার সাথে কাজের বিনিময়ে আমিষ চুক্তি লিখে,
কাগজে কলমে, চোখে কলমে।


নেকড়ের মা অপুষ্ট প্রসব ফেলে ছিল
কাকের ভাগারে কুকিলের ইন্ধনে।
ও কুকুর কাকের বাসায় তোমার ডিম
কাকরে পয়সায় তোমার ঋণ শোধো।
নয়া পাথুরে টিলায় তোমার পিতা গারো গান গায়।
তোমার লোমে অবসাধ মাখা,
পাহারা চাকরি এবার ছাড়ো।
হরিণীর কোমল কম্বল, মেষের গোলাপি শরাব,
আস্বাদ গলেনি তোমার কুটা কাটা দাঁতে।


মোহন কোমল  আখ্যান শিলায় উৎকীর্ণ,
সম-বতী তালে প্রাগ্-বর্তী কনে অবসাদ হানে।
ফেনিল অবসাদ হানে।