তিন দিকে বন এক দিকে সরু নদী
মৃদু রোদ খন্ডিত ছায়া বাঁ-পাশে।
একটি শিশু অথবা পাখি, টিকলি বাধা চুল।
আনন্দের দাপাদাপি আমার এখানে।
থাকবে সুর বীজের অঙ্কুর দুই পাতার ভিড়ে।
প্রথম নিঃশ্বাসের পরম সুখে
মিছিলের মাঝে আমিও যাযাবর।
হারোনোর ভয় নেই গিরগিটীর
লেজ খসলে কিইবা আসে যায়
হারে না বস্তুত পিঁপীলিকা পা।
পদ্মের মূলে পৌঁছাতে, মধু মাছির ঘর বেঁধেছি এলাচ বনে।
শুঁয়োপোকার সাধনার ফাঁস, মাকুর বুকে
বিসর্জিতার  লুপ্ত অলঙ্কার।


তিন দিকে নদী এক দিকে ঘন বন
রোদ নেই ছায়া নেই বুকের বাঁ-পাশে।
একটি যুবতি অথবা নদী আচলে বাধা জল।
বিষাদিনীর মৃদু আলাপ আমার বনে।
থাকার কথা ছিল না কখনই কলা পাতার,  বিব্রত হাওয়ার জ্বালাতনে,
একাকিত্বের ভয়ে আমিও স্থবির।
বাদুড়ের চোখে তাকাই তামাক পাতায়
বুক পকেটে জমা পোড়া দিয়াশলাই।
লবনের পরিমাপ শেখার দিনে মরিচের
আহবানে কান পেতেছি।
চালতার শ্লেষ্মা আঙুলে, সুতার টান ভীষণ
মেয়েলি হাতের ব্যবচ্ছেদে।