ফিসফিস কথা বলে কারা,কথা গান ধুয়ে
গেছে কবে রঙ্গিন জলে,এখন সময় কাল
আমাদের কেনা,সকল শব্দ আমাদের কেনা।
কথা সুর গানে চমকে দিয়েছিল আমাদের
মজ্জাগত ভয়ের বদলে নিয়েছি কারু-বাস।
যথেষ্ট হয়েছে ভেবে সংগোপনের গান গাই
আমাদের চমকে ওঠার কথা না করাঘাতে,
বিব্রত চমক মুছে একেঁছি ওপাল গমক।


আমাদের চমক পুতে রেখেছি চৌকাঠের ওপারে
আমাদের শরিক যারা পান পাত্রে আফিম গোলে,
বেহালা তানপুরায় কোরাস তুলে নৈবেদ্য সাজায়
জলসা ভরে ওঠে বুদবুদে নিদেন পক্ষে কবচে,
আমাদের পথ খুব সোজা,
থেমে গেছে জমাট কানা-ঘুচি লেনে
পাথর বাটিতে ননি ছেনে
কপালে এঁকেছি রক্ত তিলক,
সই মোহর বিকিয়ে দিয়েছি কানা পয়সায়
এখন তুমি আমি হয়ে,আমি তুমি হই গুরু ভাই।


আমাদের পোষাক সাবানে কাচা মুছে গেছে মাটি
চৌমাথার জটলা থামিয়েছি খরগের ছবি এঁকে,
যাদের স্বর ছিল উচু তারা হয়েছে বাচাল বোবা
যারা শোনে অথাবা রোদ মগ্ন ছিল ভোরে
তাদের পড়িয়েছি রঙ্গিন ছাতা,
চৌমাথা ভরে গেছে বিমূর্ত প্রপাতে
বালকেরা আত্ম মগ্ন,ছাতার স্বপ্ন গালে মাখে।


পায়ের দাগ ঢেকে গেছে কবে কাচঁ-কয়লার  তলে
ধারাপাত ভুলে গুহাবাসী শিষ্যা শব্দ-জট খেলে,
অজীর্ণ জড়িবুটি বেটে শিলা-লিপিকার শিলনোড়ায়
গুরু দক্ষিনায় সঁপেছি  আত্মা হৃদির পেয়ালায়,
শিলালিপি গায়ে লেখা হবে আমাদের অভিপ্রায়
ফুলেল খোয়াব গুলি তুলে রেখেছি জমির আলে
পুরা ইতিহাস ভস্ম মূলে ঢেলে,লিখে দিবো বিম্ব দলিল।


আমাদের শব্দ সুর বিলিয়ে দিয়ছি বোতলে ভরে
মদিরা ঘোর খোয়াব পৌঁছে গেছে শীত মগ্ন হাতে,
অবিশ্বাস্য ভেবেছে যারা হারিকিরি তাদের পাওনা
সকল শব্দ আমাদের কেনা বিরুদ্ধ সুর রাসটিকেটেট।