মাছের ফুলকির মত পূবাল সিমন্ত


রক্ত জবার বক্তব্য ছড়ায় নিশাচরীর


পায়ে হাঁটা পথে---নৈমিত্তিক পুলসিরাতে;


দীর্ঘশ্বাস শিতলতা নিয়ে পায়ে পায়ে নামে


মৌসুমি বালক চীনা থালার মত


পুরনো পুকুরের ব্যধি নিরাময়ে;


আমকাঠের কারুকার্য ডেরাজে ভরে


ছেলে ভোলানো হাওই মিঠাই নিয়ে


ইশারায় ডাকে খোদ মহর্ষি দেবদারু ;


দরকারি চিঠি গুলি উড়ে আসে


কাঠাল বন থেকে গৃহস্থ জানালায়,


মাছের চোখ মুক্তার বাহানা ছড়ায়


জন্মান্ধ বেত ফলের অম্লীয় জলে,


সব ভুলে ক্ষেতের আলে উড়ে বসে


জ্যোৎস্নার প্রগাঢ়তা মাখা স্বেত সিফন


মাছের আমিষ ধ্যান ঠোঁটে নিয়ে;


জাহাজের কালো মাস্তুল উড়ে গেছে ঝড়ে


বৃদ্ধ নাবিক এপার ওপার সামলায়;


পানা পুকুরের রেকাবিতে ভাসে পদ্মপুরাণ


জলময় তমহর নিধি করোতলে


অনাবিল খেলা করে সৌম্য বালক;


সবটুকু জল আশ্চর্য সৌরভ কোহল নিয়ে


ছড়ায় পারিজাত বেনারসি আতর,


মাকুর সর্বস্ব ফাস বুকে নিয়ে আধি-ক্লিষ্ট


দয়িতা বাসক বনের ঔষধি গুন বোনে,


পিতার পিরানে জল রং পাথর পাশান উল্কি


পৃথিবীর দুই পাড়ে দুই বোন সুয়োরানী


দুয়োরাণী, আশ্চর্য পুকুরের খোজ করে,


অগম্য আলোক ব্যবধানে রাজ-ঋষি।