শিক্ষা সফর
মোঃ হাদিসুর রহমান


শোন সকল ভাই বোনেরা
শোন দিয়া মন।
শিক্ষা সফরের কাহিনী
এবার করিব বর্নন।


সকালে ছাড়িলাম গাড়ি
ভুয়াছড়ি থেকে।
মানিকছড়ি পড়লাম আটকা
মস্ত হাতি দেখে।


হাতি দেখে ব্যাস্ত সবে
সামনের দিকে চায়।
অবাক হলাম বেবাক লোকে
ড্রাইবার যে নাই।


খুজে দেখি ড্রাইবার যে
যাত্রির ছিটে বসা।
পাশে এসে হাতি নাকি
হাতে দিছে ঘসা।


হাতি যে আটকালো পথ
চাঁদা নেয়ার হেতু।
ছুপার ভাইজার বেচারা ও
মস্ত বড় ভিতূ।


বিশটা টাকা দিয়ে দিলে
পথটা ছেড়ে দ্যায়।
সামনে গিয়ে দিবে টাকা
সাহস কারো নাই।


আমি নিজে কাছে গিয়ে
বুঝে দিলাম টাকা।
রাস্তা এবার ছেড়ে দিল
করে দিল ফাঁকা।


আনন্দে তাই উঠল মেতে
দামাল ছেলের দল।
দেখছি হাতি আজকে মোরা
এবার গাড়ি চল।


চলতে চলতে হটাত গাড়ি
গেল আবার থেমে।
ডাইনে বামে তাকিয়ে দেখি
পড়ছে গাড়ি জ্যামে।


জ্যামের মাঝে আটকা পড়া
কি যে ভিষণ জালা।
পুলা পানে করছে বমি
বেরিয়ে দিয়ে গলা।


একটু চলে একটু থামে
সময় বয়ে যায়।
বমির গন্ধে বাসের ভিতর
বসে থাকা দায়।


ধীরে ধীরে চলছে গাড়ি
চিটাগাঙ্গের দিকে।
অনেক কিছু দেখলাম মোরা
এরি ফাকে ফাকে।


বেলা দুইটায় পৌছে গেলাম
সমুদ্র সৈকত।
আগে খাবে ঘুরবে পরে
সবার মতামত।


নির্যন যায়গা দেখে বসি
খানা খাওয়ার লাগি।
মু্রগি পোলাও খেলাম সবে
করে ভাগা ভাগি।


একটু বিশ্রাম নিয়ে পরে
নামায পড়িলাম।
সমুদ্র তীরের দিকে এবার
সবাই ছুটিলাম।


তিন গ্রুপে ভাগ করিলাম
সকল ছেলে মেয়ে।
দলে দলে ছুটলাম সবে
সমুদ্র তীর বেয়ে।


জাহাজ দেখি সাগর দেখি
আবার দেখি ঢেউ।
লুঙ্গি গামছা পরে আবার
নেমে গেল কেউ।


আনন্দে আজ আত্বহারা
সকল ছেলের দল।
ডুবাইয়া ডুবাইয়া খুজে
সাগরেরই তল।


মেয়েগুলি ধরল বায়না
নৌকায় চড়িব।
পাহাড় ছেড়ে সাগর নিয়ে
কাব্য গড়িব।


কেউবা চালায় বালুর গাড়ি
কেউবা ঘোড়ায় চড়ে।
কেউবা আবার ঝাপায় ঝাপায়
সাগর মাঝে পড়ে।


পাহাড়িয়া পুলাপানে
পাইলো বুঝি ছাড়া।
উস্তাদ শিক্ষক কারো কথায়
দেয়না আজি সাড়া।


অনেক বুঝায়া তাদের
তীরে আনিলাম।
এখন মোদের ফেরার পালা
আবার ছুটিলাম।


নানান রঙ্গে আলোকিত
বন্দর নগরী।
তেল শোধনাগার দেখিলাম
আরো ফ্যাক্টোরী।


রাত্র যখন একটা বাজে
আসিলাম ফিরে।
বঙ্গোপ তোমার মায়া আমায়
রাখিলো ঘিরে।