মাটি মা

মাটি মা
কবি
প্রকাশনী বেহুলা বাংলা প্রকাশনী
প্রচ্ছদ শিল্পী মোহাম্মদ মোরসালিন
স্বত্ব লেখক
উৎসর্গ ফরিদ উদ্দিন
প্রথম প্রকাশ ডিসেম্বর ২০২০
সর্বশেষ প্রকাশ ডিসেম্বর ২০২০
বিক্রয় মূল্য ২০০
বইটি কিনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

বাংলা সাহিত্যের প্রথম বর্ণপ্যালিন্ড্রোম কবিতার বই। বইটিতে ৪৪ ধরণের ৫৫ টি প্যালিন্ড্রোম কবিতা বাংলা ভাষায় প্রথম নিয়ে আসা হয়েছে। এখানে শব্দ প্যালিন্ড্রোম নামের কোনো কবিতা নেই। সবগুলো বর্ণপ্যালিন্ড্রোম। এ বইয়ে আরও রয়েছে বাংলা সাহিত্যের প্রথম বর্ণপ্যালিন্ড্রোম কবিতাটি।

ভূমিকা

ভূমিকা লিখেছেন বাংলাদেশের প্রথম প্যালিন্ড্রোমিস্ট Saumitra Chakravarty স্যার।

ভূমিকাঃ
প্রথমেই বলে রাখি, আমি সাহিত্যিক নই, সাহিত্য সমালোচকও নই। আমি বিজ্ঞানের লোক। তবে সমাজে ও সংস্কৃতিতে সাহিত্য যে খুবই দরকারী একটা ব্যাপার এটা কিছুটা বুঝি। সেই সুবাদে কোনো কোনো কুক্ষণে একটু আধটু সাহিত্যচর্চার অপচেষ্টাও করি। অনেকটাই তার সাহিত্যপাঠ, আর যৎকিঞ্চিত লেখা।

দুর্ঘটনাবশত একবার বাংলাদেশের প্রথম প্যালিন্ড্রোম রচনার দুঃসাহস দেখিয়েছিলাম। এই নড়বড়ে পরিচয় নিয়ে এরকম একটা বইয়ের ভূমিকা লেখাটা আরেকটা দুঃসাহসের পরিচয় বৈকি! কেননা ইতিহাস থেকে বোধহয় আমি শিক্ষা নিইনি। তবে বর্তমান বইটির রচয়িতা হাফেজ আহমেদও কম দুঃসাহস দেখাননি। তিনি বাংলা ভাষায় অনেক ‘প্রথম’ এর দাবীদার হয়েছেন এ বইটির মধ্য দিয়ে।

এমনিতে বইটিকে সাহিত্য গবেষণামূলক বা নিরীক্ষাধর্মী পুস্তক বললে ভুল হবে না। এখানে সিঁজো, এক্রোস্টিক, প্যানগ্রাম, তানকা সহ বেশ কিছু ফরম্যাট নিয়ে আমার জানা মতে প্রথমবারের মতো বাংলা ভাষায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তার বেশ কয়েকটি আমার কাছেও নতুন। প্যালিন্ড্রোম বিষয়টি এখনও বাংলা ভাষায় বহুলচর্চিত নয়। সেখানে এই প্যালিন্ড্রোমের নানা রকমফের নিয়ে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন কবি হাফেজ।

বাংলা ভাষায় এসব ধাঁচের চর্চা একেবারে নতুন, তাই এ সংক্রান্ত শব্দসম্ভার এখনও পরিণত নয়। ফলে কবি হাফেজ আহমেদকে ক্রমাগত বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। প্রচলিত বাংলার ভাষারীতি ভাঙতে হয়েছে, ভেঙে নতুন করে গড়তে হয়েছে। পাঠকের বুঝবার সুবিধার্থে সেইসব অপ্রচলিত ঢঙ ও দুর্বোধ্য শব্দের অর্থ ও ব্যাখ্যা সাথে সাথে দেওয়া আছে। এভাবেই কিন্তু ভাষার বিকাশ হয়।

ভাষা সমৃদ্ধ হয়। আশা রাখি, এই দুঃসাহসিক চর্চা নিয়ে হাফেজ আহমেদের মতো আরও অনেকে এগিয়ে আসবেন। আরও আশা করি বাংলায় এসব নতুন সাহিত্যকাঠামো নিয়ে একাডেমিক চর্চা হোক, আমার মতো শখের সাহিত্যরসিকের মধ্যে তা যেন সীমাবদ্ধ না থাকে। তবেই এ যাত্রা সার্থক হবে।

সৌমিত্র চক্রবর্তী
ডিসেম্বর ২০২০, ঢাকা।