নতুন পৃথিবী
চৌধুরী রেজাউল হায়দার


দূরাকাশের রংধনুর নীল পরিখায়
নীলাম্বরী সুখ ছুঁইয়ে দেখিতে বড্ড স্বাদ জাগে
বিধাতায় রেখেছে কি কোনো অনন্দবার্তা তরে তার।


লাল হলুদ বেগুনি সবুজ
রঙেরঙে মিলে চৌদিক শোভায় হরেক রং
ধুপধুপানি কেবলি চলেছে বাড়িয়ে কম্পন হৃদয় তার।


বেদনার বাগিচা
বেণীতে পুষ্প গুঁজিবার সখ
ঘুরঘুর করে একাকী এক অপ্সরা আজও।


অপেক্ষা শুধু ভাগ্যদূতের,
সাজাতে একদা নিজেকে মিষ্টি চন্দ্রিমায়
যবে মিলিবে সেই ডালাভরা ফুলের সমাহার!


স্বপ্নেরা হারিয়ে যায়
বোবা কান্নারই সৃষ্টি শুরু নতুন দরিয়ার
ভরসা জাগাই, না হারুক তার আমিত্ব অবিনাশী ঢেউয়ে!


বিরহ গাথা জীবন
আঁখি ভরা স্বপ্ন গঙ্গা চিত্র
জমেছে অজস্র না বলা কথা মিথ!


সৈকতে কুড়ায় ঝিনুক খোসা
মণি রত্ন মুক্ত চাহিতে দেখিনি কভূ
প্রার্থনা প্রভু, জুটুক গলে তার একটি পুষ্পমালা।


গুনগুনিয়ে
মধু সঞ্চয়ে মৌমাছি বেঁধে দল
যেথায় বহিয়ে বেড়ায় সুগন্ধি কোমল বাতাস
দেখিয়ে তা আত্মতৃপ্তি মেটায় অগণিত প্রেম বাসনার মনন।


যেতে হবে বহুদূরে
বিধাতার সন্ধি, আজও সে একাকী
উদয়ের অপেক্ষায় মসৃণ এক সুরজ ভোরের।


ভালবাসার মালা গাথায়
কভু কি মিটিবেনা ঐ হৃদয় কুলে
কবে সুদাবে ধারকরা মুঠো মুঠো সপ্নের স্বাদ।


বুক ভরে বিরহীর কষাঘাত
ক্ষমতা রেখেছ ধৈর্য ধারণের
বুক ভরা লই উদ্ধাম শ্বাস তান!


হে বিশ্ববিধাত্রী
নবীন সূর্যের ঝিকিমিকি দেখাও
সংকল্প করি কাহারো দুই আঁখির স্বপ্ন ভরাতে।


কোকিল ধরুক রোমাঞ্চের লহরি
বিউগলের সুর, জন শ্রুতে লাগে মধুর
যেন তা নাহয় কারো কুয়াশাছন্ন জীবনকাহিনী!


প্রতিটি কুঁড়ি প্রতিটি তোড়া
জোড়া আঁখি নয়নে ভাসে
একটি নতুন দিনের স্বপ্ন ছোঁয়ার।


পুষ্পপল্লবের প্রতিটি তোড়া
একেকটি ভাবাবেগ ইচ্ছা চেতনা সুখ
রঙ্গিন জীবন গড়ার অপেক্ষা তাকে স্বপ্ন আঁকায়।।


আলিঙ্গন তার অশান্ত ঢেউ
যেথায় গুনগুন গুনিয়ে শুনিব শেষ তান
অথৈ দরিয়ার কুল ধরে হেঁটে যাওয়া এক অপ্সরা বালিকা!


একদিন হবে প্রত্যাশিত মিলন
নিজেরি অজান্তে ব্যথার বুকে খুঁজে
একটি অনাবিষ্কৃত পূর্ণ ভালবাসার গুনগুনানির সুর।


হরেক কল্পনাতে রই বিভোর
হইয়না নিরাশ ! স্নিগ্ধ দিন আসিবে অচিরে
সেতু বন্ধন হতে তোমাতে তাহাতে এই নতুন পৃথিবীতে।
(১৭/০৪/২০২৩)


-হায়দার ।
প্যারিস, ফ্রান্স
০৭/০৫/২০২৩


বি দ্রঃ
ফ্লোরিডার সৈকতে কিংবা মিয়ামির বিচে শামুক ঝিনুক কুড়াবার বেলায় আজও কোন এক দেবদূতের সান্নিধ্যে পাবার ইচ্ছায় পুষ্পমঞ্জুরীর স্বপ্ন বুনে থাকা কোন এক অপ্সরা ত্রানাকে উৎসর্গ