পাপড়ী
চৌধুরী রেজাউল হায়দার
অন্তরে মমতার লুকানো টুকরা
দুর্গম সমম্বয় জীবন সুগড়া,
অপক্ক অবোধ্যের গোপন লালন
হয়নি প্রকাশিত প্রেমের বর্ণন।
- মেঘের অপেক্ষায় চাতক।
রাতের জ্যোৎস্নায় তারার মেলায়
ভাবিনি কারো কর্ণে পৌঁছনা তরঙ্গ,
ছিল যাহা ছেড়া আর্জি হৃদয়ে ভরাট
পাবেনা কবিতার মধ্যে তা প্রকাশ।
- সময়ের অন্বেশায় চাতক।
গলেতে শোভর্ধন শিউলি মালার
সদ্যই ঝরেপরা খোঁপার গোলাপ,
ভঙ্গুর আঙ্গিনায় তৃষিত মনেতে
কান্নারা বুকচিরে ফিরছে অজানন্তে
- ভাগ্যের বিপরীতে চাতক।
আশারা প্রতিনিয়ত ডুবছে হতাশে
আশংকা আর অনুরাগের হাত ধরে
চলন্ত ভীরুমন প্রকম্পিত করে না
প্রকৃতির আনন্দঘন ধরিত্রীকে
- কিংকর্তব্য বিমুঢ় চাতক।
চলেছে পূর্ণীর স্বপ্নীল ছোঁয়ার আবেশে
গগনে মিটিহাসা তারার লোভনে,
ধুমকেতুর ছায়ায় ভুলে আনমনে
অগ্রনী ভাবিল দুর্গ্রহ প্রলেফকে
- রহিল একাকী চাতক।
নিরবে অভিমানে নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে
অস্থির পথহারি পথের বাঁকেতে,
দূর্দিনে প্রেয়সীর সহায় নিমিত্তে
জীবন প্রাণপনে প্রস্তুত ত্যাগিতে
- প্রিয়ার মঙ্গলে চাতক।
হারানো ঢেউয়েরা ফিরেনা তীরেতে
অশান্ত অবসন্ন দেহ রয় ক্লান্তিতে,
চায় যে ভেজাভেজা ঝড়ানো পাতায়
সুরেশ কালান্তরে নিদ্রায় রহিতে
- সুআশ রাখে চাতক।
বুকের পিন্জরে ধনুকের আঘাতে
দিওনা শ্বঙ্খলণ রক্তের গড়াতে,
যায়োনা হতহৃদে নেভাতে সান্ধদীপ
থাকিলে হৃদহীন ডুববে দীপ্রগিত
- চিরভাস্বর চাতক।
রচিলে শূন্যদ্যানে অথৈ সাগরের
বাঝিয়ে প্লাবনের অজস্র শব্দের,
বুকের মধ্যখানে যে বেশী বাঝবে
যাবেনা অবিলীন তুলিতে সূরবীন
- সুরের মূর্চনায় চাতক।
মনেতে দিনভর ভাসিয়া বেড়ায়
সুরেলা স্পন্দনে নৃত্যের তালেতে,
হয়তো কাংখিত গোলাপে ভরবে
পরাগ রেণুদের আশার কলিতে
- প্রত্যাশায় রয় চাতক।
প্রাপ্তির প্রত্যাশায় মেলিয়া দু’আঁখি
বিভিষিকা দ্বিধাদ্বন্দ্ব জাগিয়ে নারাখি,
চাতক চাতকি বিমুর্ত ক্ষনে মিলিলে
স্বপ্নীল ভবে একদিন হয়তো মেলিবে
- গোলাপ তার পাপড়ি।
১৮-০৪-২০০৭
-হায়দার
প্যারিস,ফ্রাঞ্চ
২২-০৪-২০১০