মন আজ হয়েছে উদাসী
গগনে স্থির রয় জ্যোৎস্নাজাগা রাত
ডাগরডাগর আঁখির সজ্জিত বিন্যাস
কল্পসরসীতে রোপে ঝংকার আলোড়ন।


মনোমন্দিরে জাগাই ফাল্গুনী হাওয়া
খনিক আবেগে এঁকে যাই এক স্নিগ্ধ পূর্ণিমা
অজস্র হৈহুল্লোলেও স্বাদ জাগে ধরতে চন্দ্রিমা ।


সাজিলে নপুর সাঁজ মনোহারী আজি
মাড়িয়ে পদরেণু শুনেছি রুলির রুনুঝুনু
মুছে আঁখিলোর খুলেছি রুদ্ধদ্বার পিঞ্জর ।


হিয়ার হিমবাহ তাড়িয়ে দূরে
মনশ্চাঞ্চল্যে বাঁধি হৃদ্যতার গিঁট
পোড়ামনে তুলেছি বাঁশির সুর।


দিয়েছ সমীহ মনোলোভা সায়
জাগরণী দেখালে বাজনা বাজন
ছলছল নয়নে ভাবনারা উর্বশী
সতেজ বৃন্দাবন ভরায় হাজার মন
সরে যায় রাশভারি বাদলা মেঘ
ঝাঁজালো বুকে পায় পাখিডাকা ভোর
মনন চিত্তে আনন্দ পুলক বাঁধে বাসা ।


বাসন্তি আবহ ফল্গুধারা নেয় কাড়ি
চৌসীমানা আহূত করে প্রফুল্ল হবার
সুহৃদের মিলে সন্ধান ফাগুণী গঞ্জন
ভেসে হারায় পানকৌড়ির আর্তনাদ।


সানন্দে কোকিলেরা ধরে গান
দুনিয়াবাগে খোলে অতুল্য ফটক
মুষলধারে বহে হরেক খুশিডলক ।


অসীম সপ্ন অপরূপে যোগায় প্রয়াস
শ্রী-সুন্দর প্রীতিপ্রতিমা আবাদের ইন্দন
ঝরিয়ে ইচ্ছাবারি আকাংখা ছড়ায়।


পাবনী হয়ে মেলেছ ময়ূরী পেখম
হয় পাথেয় আবছা আদৃত আবীর
কল্পনা ঘেরা গল্পবন হয় বকশিত।


রচি চম্পক চম্পু বাগান বিলাস
অন্তরতলে জাগে আলোর মহল
আশার প্রদীপ চাপাস্বর দেয় ফুলকি
নিলাম এঁকে প্রণোদিত প্রস্ফুটিত জীবন ।


বৈদগ্ধ চিত্যে দিয়েছি বৈতরণীর পাড়ি
মুহূর্তে তরঙ্গ উঠায় ভেজানো বেহালা
মনোরথ খুঁজে রাশিরাশি আনাবিল আশ্বাস
হৃদদ্বয়ের মিলন মেলা উড়ায় বৈজয়ন্তী
সমুত্থানে মুগ্ধ রই বিষণ্ণ বাউল সাঁই
ধরাতলে সোভায় এক নন্দনকানন ।


-হায়দার।
প্যারিস,ফ্রান্স।
১৩/০৯/২০১৫


বি দ্র
* সহধর্মিণীকে উৎসর্গ করা হল
* এ লেখাটা এক যাযাবর পায় নয়া ঠিকানা এর পঞ্চম পর্ব।
চলবে ক্রমশ …………….