বিকেলবেলা আনমনে রাস্তায় হাঁটছিলাম,
মনটা ছিল ভীষণ খারাপ, ব্যথায় ভুগছিলাম।
প্রকৃতিও ছিল বেশ আকাশভরা মেঘলা,
মৃদু হাওয়ায় দুলছিল চারপাশের গাছপালা।
একটু সামনে যেতেই দেখি, কে যেন দাঁড়িয়ে,
পেছন থেকে চেনা লাগে, ভাবনায় পড়ে যাই ঘুরিয়ে।
আরও একটু যেতেই সে ফিরল আমার দিকে,
অপূর্ব সেই মুখটা দেখে মন হয়ে গেল ফিকে।
এতদিন পর হঠাৎ দেখে, থেমে গেছি হঠাৎ,
বুকে যেন পুরনো কষ্ট নেমে এলো আঁধার রাত।
আগ বাড়িয়ে বলল সে, “কেমন আছো তুমি?”
তার কণ্ঠ শুনে কেঁপে উঠল ভিতর জমিন ভূমি।
স্বাভাবিক কুশল বিনিময় করেই বললাম,
“হঠাৎ করে এখানে? বুঝে উঠলাম না তামাম।”
বলল, “স্বামীর সাথে এসেছি বেড়াতে,
গাড়ি আনতে গেছেন তিনি সামনের রাস্তাতে।”
শুনে ব্যথা আরও বাড়ে, মন বলিল, হায়!
তার তো বিয়ে হয়ে গেছে, আর কোনো আশাই নাই।
পাশ থেকেই এক পিচ্চি এসে তারে গিয়ে ধরে,
অস্পষ্ট ভাষায় কিছু যেন তাকে জিজ্ঞাসা করে।
বলল, “তোমার মামা এটা, সালাম করো তাড়াতাড়ি।”
শুনেই বুকের ভেতরটা কেঁপে গেল ভারি।
কোনোমতে সামলে নিতে, শুনি মেয়ের 'মামা' ডাক,
বেহুঁশ হয়ে পড়লাম আমি—চোখ মেলে দেখি, স্বপ্নের ফাঁক!