এক সাধারণ গল্প


একটা গল্প বলি?
কোনো এক অমুক বাবুর গপ্পো।
অমুক বাবু... এ কিরকম নাম?
আসলে এমন হাজার অমুকবাবুকে
আমরা রোজ দেখি
তাই নামের বাহার এ গপ্পে বড্ড বেমানান।
তা শুনুন না একটা সাদামাটা অমুক বাবুর গপ্পো!


আমাদের অমুক বাবু শান্ত মানুষ,
অফিসে তিনি কেমন সিঁটিয়ে থাকেন...
বড় সাহেব ভীষণ রগচটা
যখন তখন তার কপালে জোটে ধমক।
বাজারে গেলে নিজেকে বড় অসহায় লাগে তার
দামী মাছ, ভাল ফল, সব নাগালের বাইরে...
বাসের ভিড়ে, কখনো ট্রেনের দমবন্ধ পরিবেশে...
দিব্যি মানাতে জানেন তিনি।
ও দাদা একটু চেপে বসুন দেখি
আরে ঝুলবেন না.. ভিতরে চাপুন
এসবে তিনি বেশ অভ্যস্ত...


স্কুল জীবনে পিছন সারিতেই বসা।
শিক্ষকদের নজরে ছিল তাচ্ছিল্য
এ ব্যাটার কিস্যু হবে না... হ্যাঁ রে এবারও অংকে দুই?
লজ্জা আর সংকোচ তাই ছোটবেলার সঙ্গী।
খেলাধুলোতেও তার দৌড় কম...
রোগা চেহারায় কিছুই চোখে পরার মতো নয়।
কলেজে মেয়েদের দিকে তাকানোর সাহস হয়নি তার


রোজ রাতে ক্লান্ত শরীর যখন বাড়ির দরজায়,
আমাদের অমুক বাবু আলাদিন হয়ে যান!
হ্যাঁ, সত্যি বলছি, বিশ্বাস করুন আমায়
দরজা খুলে যে মেয়েটি দাঁড়ায় লাল সিঁদুরে রেঙে,
তার চোখে খুশির ঝিলিক খেলে!
আদুরে হাত তার গালে ছোঁয়ায় ভালবাসার পরশ
সারাদিনের ক্লান্ত কলম পেশা সেই হাতে এক জাদু!
ক্লান্তি ভুলে ব্যাগ থেকে আলাদিন বের করে আনেন
বউএর খুশি মেয়ের হাসি
তাদের আবদারের জিনিস গুলো....


                                      হৈমন্তী রায়