আমি চাই না অস্ত্র, চাই না রক্তের উৎসব, চাই না উত্তাপে বিচ্ছিন্ন শব্দের রোষ। আমি চাই চোখে দীপ্ত আগুনে উচ্চারণ— “সত্যই সাহস, মিথ্যাই পরাজয়।”

যাদের বুকে ফোটে ফসলের গান, চুলে লেগে থাকে দুপুরের দীপ্তি, সেই হাতের মর্যাদা হোক ধরণীর চেয়ে উচ্চ। খালি গায়ে যে ঘাম ঝরে, সে হোক সমাজের প্রথম শ্রেণির প্রতীক।

আমি চাই এমন এক আইন— যা ঘ্রাণেই চিনে ফেলে প্রতারণা, যা ন্যায়ের পায়ে রাখে দৃপ্ত চাল। অন্যায় যেন না পায় কোনো শব্দপথে স্নেহ।

আমি চাই প্রান্তিক ঘরে প্রাচুর্যের নয়, গৌরবের আলো জ্বলে। অনাহারে নয়, আত্মমর্যাদায় ভরে উঠুক হাঁড়ি। করুণার নয়, কৃতির চিহ্নে ফুটুক জীবনের ভাষ্য।

আমি চাই না হৃদয়ে ভীতি বাস করুক, আমি চাই দুর্বলের কণ্ঠে সূর্যের আরতি উঠুক! রিক্সার চাকার শব্দে থাকুক শ্রান্তি নয়, বরং মর্যাদার ছন্দ—যা শ্রবণে জাগায় সম্মান।

আমি চাই সকাল হোক সততার প্রতিচ্ছবি, প্রতিটি দোকানে থাকুক নীতির সুবাস। প্রতিটি মুখে থাকুক স্বচ্ছতার স্বর, আর আদালতের দ্বারে যেন বাতাসও হয়ে ওঠে ন্যায়ের ভাষ্য।

আমি চাই স্পর্ধার স্বাধীনতা— যে স্পর্ধা বিভাজন নয়, বরং জাগরণ। শিশু যেন শেখে গর্ব মানে কী, মানুষ জানুক—ঘণ্টা বাজে ন্যায় জয়ের কূলে।