আমি সেই কণ্ঠ—
যে নীরবতা চিরে জাগায় দ্রোহ,
ভয়ের থেমে যাওয়া জায়গায়
আমি রাখি নিঃশ্বাসের ছাপ।
আমি নিয়মের শেকল নয়,
আমি প্রাচীর ভাঙা শব্দ,
মাটি যদি ডাকে—
আমি ঝরার মতোই নেমে আসি সাহসে।
মানচিত্রে আঁকা রেখা চোখে ধরা যায়,
কিন্তু হৃদয়ের পাঁজরে
কখনো সীমা বাঁধে না।
আমি এক স্পর্শ—
যে বলে, “এই মাটি কারো নয়—
এটা আমার, আমার অস্তিত্বের রক্তে লেখা।”
আমি সৈনিক নই—
তবু হৃদয় গলে ঢাল গড়েছি।
প্রহরী ক্লান্ত হলে আমি দাঁড়াই
নিঃশব্দ প্রহরায়।
আমার সাহস অদৃশ্য দেয়াল—
না কাঁপে, না ভাঙে,
না হার মেনে বসে।
আমি জিজ্ঞেস করি না—“কে যাবে আগে?”
আমি বলি—“যদি কেউ না চায়, তবে আমি যাব!”
সীমানার তারে আমি দেখি সাহসের পরীক্ষা—
দেশপ্রেম বোঝা যায় দাঁতে কামড়ে ধরা প্রতিজ্ঞায়—
না শুধু গানে, না শুধু পতাকায়।
আমার পাশে কেউ নেই,
তবু আমি একাই এগোই,
কারণ ভালোবাসা একাই পারে বিপ্লব জাগাতে।
যদি ঝড় আসে—সে আসুক,
আমার চোখে আগুন জ্বলবে,
নিভে যাবে না কখনো।
আমি আইনকে সম্মান করি,
তবু অন্যায়ের মুখে নীরব থাকা—
সে শিক্ষা আমি রাখিনি।
আমি না বক্তা, না লেখক,
না আলোচনার নায়ক—
আমি সেই ছায়া,
যে নিঃশব্দ পাহারা দেয়
যাতে হাওয়ার ছোঁয়াতেও আমার দেশ না কাঁপে।