গাছের নিচে বসে আছি— অরণ্যের ছায়ায় চুপচাপ,
শুধু শোনা যায় কু কু কু...
অস্পষ্ট, অথচ তীক্ষ্ণ, অজানা কার উদ্দেশে তার ডাক?
সে কি সন্ধানী? না কি ব্যথার প্রতিধ্বনি?
আমি জিজ্ঞেস করি, “দাদু, এ কোন পাখি?”
দাদু হাসেন, বলেন, “এ তো কোকিল, বসন্তের সুরকার।”
আমিও ডাকি, কু কু কু...
সঙ্গে সঙ্গে পাখিও ডাকে—
আরও তীব্র, আরও গভীর,
তার সুরে মিশে থাকে ব্যাকুলতা, অন্তহীন এক অস্থিরতা।
ডাকের শব্দ ভেঙে পড়ে বাতাসে,
ছড়িয়ে যায় শূন্যতার অসীম রেখায়।
সমস্ত নিস্তব্ধতা কেঁপে ওঠে,
তবুও সে একা, তবুও সে খোঁজে...
তার ডাক কি বাতাসে মিলিয়ে যায়?
নাকি কেউ শোনে, তবু নিরুত্তর থাকে?
সে কি হারানো বসন্ত খোঁজে?
না কি নিজেকেই—
ভুলে যাওয়া কোনো সময়ের ছায়ায়?
বছর গড়ায়, ঋতু বদলায়,
কোকিলের সুর তবু রয়,
অপেক্ষার আগুন জ্বলে,
আকুলতা বাড়ে ক্ষয়।
সে ডাকে, আমি শুনি,
সে খোঁজে, আমি ভাবি—
নিভে আসা আলোর শেষে কি সূর্য উঠবে আবার?