ধোঁয়ার শরীরে উড়ে শহীদরা, ঈদের দিনে ছিন্নভিন্ন, রক্তঝরা দুপুর যেন কসাইখানার নির্লজ্জ দিনচিত্র বিন্দুমাত্র ভিন্ন। ফিলিস্তিন জ্বলছে আগুনে, পাথরের শহর পিষে গিয়েছে, আকাশে আল্লাহু আকবার—কিন্তু জমিনে কফিনে জীবন ঢুকে গিয়েছে।

ছোট্ট হাতগুলো কোরআন থেকে ছিটকে পড়েছে পলাশ ফুলের মতো, মায়ের কোলে বিস্ফোরণ—শিশুর হাসি এখন নিথর, নীরব, নতো। জন্মই ছিল অপরাধ, তাই কি বাঁচার অধিকারও বিলাসিতা? তাদের বুকের হাড় চূর্ণ করে নির্মিত হয়েছে ভণ্ড সভ্যতা।

নীরব বিশ্ব—অন্ধ মানবতা—হাসছে রাষ্ট্রের মুখোশে, আকাশে যত তারকা, তত শহীদের আত্মা, ক্ষোভে রক্তের রোষে। ওরা বলেছিল: “আমরা জান্নাতে থাকবো, খুঁজো না এখানে,” বিদায় জানিয়ে গেলো একেকটা নাম, যা ইতিহাসে গন্ধমাখা অশ্রুতে লেখা থাকবে চিরকাল অজানে।

ধ্বংসস্তূপে ঈদের চাঁদ নিঃশ্বাস ফেলে রক্তের পুকুরে, মসজিদের গম্বুজ ফেঁটে উঠে, শিশুর কান্না যেন বোমার হুঙ্কারে। ওদের ঘর আজ ধ্বংসস্তূপ, হৃদয় ছাই, তবুও আশ্বাস— “আমরা আবার ফিরবো, ইনশাআল্লাহ—জয় হবে আল কুদস, তোমাদের সব আশ্বাস ফাঁস!”

এই কবিতা নয়, এটা হল ফিলিস্তিনের ভাঙা বুকের ব্যথা, শুধু চোখে নয়, অন্তরে পড়ে দেখো—সেখানেই লুকিয়ে রেখেছি সব কথা। পাখির মতো নয়—ওরা ছিল ঈমানের বাজ, বুকে তাওহিদের ঝড়, গাজা আজও বাঁচে তাদের রক্তে—যারা চলে গিয়েছে, তবুও অমর।