আমার জন্ম যে মাটিতে, সেখানে ন্যায় বড়ই দামী,
বিচার কিনে নেয় সম্পদশালী, গরিবের থাকে অভিশাপের নামি।
একদিন কাগজ হাতে গেলাম এক কার্যালয়ে,
কাগজে ভুল নেই তবু বলে, “দোষ তোমারই রয়ে”।
দুই হাজার, পাঁচশো নয়, হাজারে শুরু অন্যায়ের সওদা,
লজ্জায় মাথা নত, দিলাম টাকার বাদা।
দেখি মঞ্চের মাথারা হাসে, পকেট ভরে চলে যায়,
এই দেশে ন্যায় মানে টাকার সায়।
একদিন অসুস্থতা এলো, প্রয়োজন সেবার,
সিরিয়াল বন্ধ, হৃদয় ওদের পাথরভার।
রিকোয়েস্ট করি, কান্না আসে চোখে,
একটি কল আসে, “হাজার দিলে দেখাবো তোকে”।
ভাবি — এও এক লুটপাটের নতুন বাজার,
অন্যায়ের প্রতিবাদ করা হয় না বারবার।
টাকা দিলাম, মেনে নিলাম,
সমাজের এই নির্লজ্জ নাম।
জীবনের নামে শুধু অর্থের লেনাদেনা,
মানুষ নয়, আছে নোটের ব্যাঙ্কের সেলাম।
একজন স্বপ্নবাজ স্বপ্ন দেখে দূরপাল্লায় যাবার,
টাকার অভাবে থামে, প্রতারণায় তার।
বিশ্বাস করে দিল সব, প্রতারক উধাও,
ন্যায় চেয়ে গেল, পুলিশও বিক্রির দাও।
রাস্তাঘাট কাজ হয়, পথ ভাঙে দুই বৃষ্টিতে,
কাজ চলছে, দুর্নীতির ভেতরে ডুবিতে।
এই দেশ অন্ধ, মুখোশের শহর,
হক মরে, পাপীরা জেতে ফের।
আমি মরেও বাঁচবো, যদি পড়ে কেউ ক্ষোভ,
শব্দে জ্বলে উঠুক প্রতিবাদের নভ।
আমি বলি — উঠে দাঁড়া, ভেঙে দে শৃঙ্খল,
মুখোশ খুলে ফেল, আজিই কর সাফল।