এতদিন পরে, এলে মম দ্বারে, কবিতার রূপ ধরে
আঁখির পলকে, হৃদয় কাড়িয়া, নিলে যে আপন করে।
তোমার পরশে, শুষ্ক মরুভূমি, হলো যে মরুদ্যান
আবেগের বশে, প্রাণের হরষে, কেড়ে নিলে মোর ধ্যান।
হৃদয় ভরিয়া, জুড়ালো তাহাতে, শত জনমের পোড়া কায়া
বাড়িল যে প্রেম, স্বপন রাতিতে, পেয়ে শারদ মেঘের ছায়া।
ওহে পটিয়সী, নেবে কি আমারে, দেবে কি হৃদয়ের মাঝে স্থান
আমি যাবো এঁকে, তোমার মুখছবি, শব্দ বিন্যাসে রেখে অম্লান।


নিশুতি রাতিতে, অলখ চকিতে, দাঁড়াও হে চিত্তে মম
মননের মাঝে, জ্বালো দীপশিখা, পুড়ে তা চন্দন সম।
চাহিয়া রহিছি, তব মুখপানে, লিখিব কোন সে ছন্দে
নাবলা কথাগুলি, রহিছে এলোমেলো, গাঁথিব তাদেরে আনন্দে।
ভাবিয়া ফিরিছে, সারা দিবানিশি, লিখিব একখানি কবিতা
অবনীর পরে, জোসনা ছড়ায়ে, ভরায়ে দিলে তার সবই তা।
চমকিয়া চাহি, চিনিতে না পারি, তবু প্রাণ ভরে লিখে যাই
সাজানো রহিল, পরাণের কথা, তাইতো বারে বারে ফিরে চাই।


(“মিষ্টি প্রেমের কাব্য” থেকে)