ভোরটাতো হয়েছিল অনেক আগেই,
সেই যে প্রার্থনার জল গড়িয়ে
নিজেকে পবিত্র করার পর।
বাগানের পাশে হেলে পড়া
জুঁই ফুলের ঝাড় থেকে, তখনও
ঝরে পড়েনি তারা। মালিনীর মেয়েটাও তখনও
আসেনি। দুপুর হবার তো অনেক বাকি,
তাই তাকে প্রথম দেখার আবেগ
দমিত হয়নি তখনও।


গাঁয়ের একেবেকে যাওয়া পথ ধরে,
গাঙ্গের ধার দিয়ে, হেঁটে গেছি কত
একটিবার দেখার তরে-
কারণ, সে এসেছিল একদিন
ঐ জুঁই তলায়। ক্ষণিকের দেখাতে
ভরে গিয়েছিল ক্ষণগুলো।


তার উপর আরও ভালো লেগেছিল,
হিজল গাছের ফাঁক দিয়ে ঝরে পড়েছিল
শিশির শুকানো রোদ্দুর, রূপালী আলোতে ভরে।
বকুলের শাখে দুলেছিল কপোত-কপোতী,
গোমতীর ধীরে বহা স্রোতে
ভেসেছিল, রঙিন পাল তোলা এক নাও।


সুর করে গেয়ে উঠেছিল, খয়েরি ডানার পাপিয়াটা
মন খুলে হেসেছিল নীলাকাশ,
তাইতো তৃষিত প্রাণে, ছুটে যাই তার কাছে।
আর কেন জানি মনে হয়, সব পথগুলো
মিশে গিয়ে একাকার হয়ে গেছে, ঐ পথে।


("মিষ্টি প্রেমের কাব্য" থেকে)