ভর দুপুরে, মালঞ্চলতার ডালে বসে থাকা
বাহারী প্রজাপতিটা বাতাসের কোলাতে তটস্থ হলো,
আধো নুয়ে পড়া নিমের শাখে ঝিমোনো বুলবুলিটাও
নড়ে চড়ে বসে চেয়ে রইল আকাশের পানে,
দীঘির জলের ওপরে ফুটে থাকা পদ্ম পাতায় বসা
লাল ফড়িংটাও সন্ত্রস্ত হলো। রাতের আঁধার নেমে এলো
চারিদিকে, এ কিসের লক্ষণ! কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই
শুরু হলো শিলাবৃষ্টি, সাথে নিয়ে প্রচন্ড হাওয়ার দাপট-
জুবুথুবু ভিজে যাওয়া ঘুঘুটা ডাক ভুলে খুঁজে ফেরে
নিরাপদ আশ্রয়, বনের ধারে সদ্য গজিয়ে ওঠা
ঝিঙেফুল গাছটাও উপড়ে যাবার ভয়ে প্রমাদ গুনলো-
আর এই আঁধারের মাঝেও শালিক ছানাটা মায়ের কোলে
বসে কি স্বস্তিতে লক্ষ্য করলো, লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া
তরুলতাগুলোকে, আর বল্লো,
“পৃথিবীর সবচে’ শান্তির স্থানেই আছি”।