মজা পুকুরের ধারেতে বসিয়া
গাহিয়া ফিরিছে কোন সে উদাসী,
জলেতে তো আর দোলেনা কুমুদ
তবু কাদাজলে রহিছে ভাসি।


গাঁয়ের বঁধুরা চলিছে গাহিয়া
দীঘির জলেতে করিবে সিনান,
ফিরিবার কালে গাগরী ভরিয়া
জাগিত করিতো প্রভাতের প্রাণ।


পোহাতে না রাতি, জাগিয়া উঠিলো
বেনুবন শাখে বাহারী ফিঙে,
জেলেনীর মেয়ে, মাচানে পাড়িলো
সবুজ লাউ, কুমড়ো, ঝিঙে।


ভরা ভাদরের ছায়াতে বসিয়া
রাখাল ছেলেটি বাজায় বাঁশি,
রবির কিরণে শিশির হাসিলো
মুক্তা ঝরিলো, কত শত রাশি।


খেজুর পাতার পাটিটি পাতিয়া
সখীরা সকলে উকুন বাছে,
সোনারঙ ধানে বাতাস বহিলো
কোকিলা গাহিলো জারুল গাছে।


সারা দিনমান হাঁটিয়া চলিলো
পূবের পাড়ার দুখী ভিখারিনী,
সাঁঝের আঁধারে জ্বালায়ে প্রদীপ
দাদী বুড়ি তার ধরিলো কাহিনী।


রাতের তারারা জাগিয়া উঠিয়া
ভরায়ে দিলো যে নিলিমার কোল,
মায়ের আঁচল জড়ায়ে ধরিয়া
ছোট খুকুমনি খায় যে দোল।


(“ভোরের মাঝি” কাব্য থেকে)