রাত দ্বিপ্রহর নিরব,নিস্তব্ধ।
হতাশার চাঁদরে ঢাকা আভিজাত্যের এ শহর
এখনো জেগে আছে পানশালা,
নর্তকীর আহ্বানে পুলকিত ধনির দুলাল মেতেছে শরাবের মোহে।
কেউ কেউ জেগে আছে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে।
ফ্লাস্ক হাতে চাওয়ালা,গুঁটি গুঁটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে কাগজ কুড়ানো মেয়েটির জীর্ণ শরীরে শীর্ণ পোশাক,
রিক্সার প্যাডেল চলছে অবিশ্রান্ত,
ডিউটি শেষে ফিরছি কোন এক অভাগা সন্তানের পিতা।
লাশকাটা ঘরে পড়ে আছে আদরের ধন,
নিথর অথবা উলঙ্গ দেহ চাঁদরে মোড়ানো।
প্ল্যাটফরমে শুয়ে থাকা ভবঘুরে,শীতের যন্ত্রণায় আধঘুমে গুটিসুটি।
অথচ দামি কার্পেট,চোখ ধাঁধানো ঝাড়বাতি,মোজাইক শোভিত ক্ষণিকের প্রার্থনালয়!
মৃত্যু আত্মার বোবা আর্তনাদে অদ্ভুত এক অভিশাপ আমাদের কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে!
এ অভিশাপ আজ সরকারী প্রেসনোটে মিথ্যের বেশাতি
এ অভিশাপ আমলাতন্ত্রের হেঁয়ালি পাশার ঘরে
এ অভিশাপ ধর্মের জিকিরে বিভক্ত চারপেয়ে অদ্ভুত এক জন্তুর আঁতুড়ঘর।
কলম হাতে নীরব কবি,বুদ্ধিজীবী কেনার হাট বসে প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে!
বুলেটপ্রু গাড়িতে মদ,বিয়ারের চালান যায় আর আসে অভিজাত বা্রে।
দালালিতে ব্যস্ত কবি ও সম্পাদক,
আদালতের হুলিয়া যেন আজ ডাকবক্সের মতোই বিলুপ্ত।
চেতনার মগজে শাণ দাও হে শাণ দাও,
বজ্রের বেগে আঘাত করো,তাসের ঘর একদিন ভাঙবেই ভাঙবে।
তৈরী হও তৈরী হও,তৈরী হও,জোট বাঁধো,জোট বাঁধো,তৈরী হও!