মধ্য রাতের নীরবতা ভেঙে কলমের খোঁচায় রচিত শব্দরা
            বারবার আমাকে পিড়া দেয়
নিঝুম রাতের তারারা হারিয়েছে অভিমানী মেঘের আড়ে
ঘন আঁধারে নিঃশব্দে ছুটে চলে চামচিকারা
রক্ত ঘামে উপার্জিত আয়ে চলে যার জীবনের চাকা
ল্যাম্পপোস্টের মৃধু আলোয় তার জীবনের স্বপ্ন আঁকা
দূরে কোথাও জেগে আছে কবিতা সৃজনে কোন এক কবি
যার নিপুণ হাতের দক্ষতায় শব্দরা মাতে ভাঙ্গা গড়ায়
রক্ত পলাশের প্রান্তরে এসে হয়তোবা কবি ক্ষান্ত দিবেন
প্রকৃতি প্রেমের দারুণ কাব্যময়ে লেখা হবে শোকগাঁথা
আটপৌরে জীবনে কবিতার ভাঁজে নিপুণ শব্দমালা
দূর হ প্রজাপতি এখানে মধু নেই আছে শুধুই ঘামের নির্যাস
যার প্রতিটি ফোটায় ফোটায় ন্যায্যতার হাহাকার  
ধ্বসে পড়া কংক্রিটের নিচে রক্তাক্ত হাতে  
অভিমানী প্রেতাত্মারা মাঝ রাতে উল্লাসে মাতে
মৃতের মাংস ছিরে খাওয়া শকুনের দল
আজও উদ্ধত পায়ে এগিয়ে আসে পড়াতে শিকল