মেঘেদের দলে ভীর করেছে উড়ুক্কু স্বপ্নেরা!
সহসা ভিজিয়ে মাতাল পুরীর রাজ্যে ফের
রোদ্দুর হয়ে হানা দেয় প্রত্যুষে,
লাল নীল হলদে প্রজাপতির মতো প্রতীক্ষার বেলা
ডিঙ্গিয়ে সূর্য যায় যায়।
নীড়হারা পাখিরা ধরেছে নীড়ের পথ-
মেঘ কন্যা কেন এত অহমিকা তোমার
কিসের জন্য এ অভিমান!
চৈত্রের দহনে চৌচির মাঠ ঘাট উদ্বিগ্ন কৃষকের ব্যকুল হৃদয়
গ্রীষ্মের দাবদাহে ওষ্ঠাগত প্রাণের তৃষ্ণার্ত
আকুলতা
জানি না কি উত্তর দিবে?
হাটবারে আসন পেতেছে দোকানি-
হরেক রকমের পসরা সাজিয়ে এটা ওটা আরও কত কি
নিয়ে!
আমিও তেমনি-
মেঘকন্যা তুমি আসবেতো আমার অপেক্ষারত বুকে লাল
শাড়ি কোমরে ঘুঙুর পায়ে নূপুর কপালের লাল টিপে।
আচ্ছা বেণীবাঁধা চুলে কেমন দেখাবে তোমাই?
রাগ করেছো বুঝি!
বিচিত্র তোমার রূপ
হতে পারে এ তোমার ক্ষণিক অভিমান-
তোমার আগমন উপলক্ষে গাছে
গাছে কানাকানি,
ক্ষণে ক্ষণে হৃদস্পন্দন বজ্রপাতের মতো ঝলক ,
উত্তরবায়ুর আঘাতে খড়কুটা ধুলো উড়িয়ে পৌঁছেছে
নীল সীমারেখায়।
মেঘকন্যা তুমি আসবে বলে কি অধীর অপেক্ষা প্রকৃতির
রাখাল ছেলে না হয় ভুল করেছে!
অবুঝ বালক একটিই তো মানপাতা
এতো রাগ করলে কি আর চলে!
উত্তপ্ত শুকনো মাটিতে তোমার আলতো ছোঁয়ায়
স্পন্দনে ফিরবে প্রাণের উৎফুল্লতা।
কভু শান্ত তো এই অশান্ত
কখনো টিপ টিপ নিরবধি শান্ত বর্ষণ
আবার বিধ্বংসীরূপে হঠাৎ দাও হানা
তুমি আসবে বলে হলদে টিয়া গল্প জুড়েছে!
অবশেষে-
সেই তুমি এলে যখন রাত দ্বিপ্রহর,
ক্লান্ত শ্রান্ত মনে দোকানি ফিরেছে ঘরে।
উষ্ণ আবেশে রূপকথার রাজ্যে নিমজ্জিত রাখাল
জোনাকির আলোতে নিস্তব্ধ গাঁয়ের আলপথ,
এদিকে মেঘের ঘর্ষণে মাতাল ব্যাঙ্গের ঘ্যাঙর
ঘ্যাঙর সুর
কোন এক দূর গাঁয়ের বধু ব্যস্ত স্বপ্ন বোনায়।