বিশ্বস্ত সূত্রে জেনেছি।
আজ রাতের তারারা ছুটি নিয়েছে,
আকাশের রং ভীষণ কালো!
পথ আগলে আছে মহাকাল।
যেখানে ফুল ফুটবে বলে কথা ছিল,
সেখানে বারুদের ঝাঁঝালো ঘ্রাণ।
অথচ,
পথ চেয়ে আছে সুদিঠি।
বিছানায় নতুন চাদর বিছিয়েছে সে,
কোন এক সুপুরুষ কথা দিয়েছিল-
এই অন্ধকার রাতে তারা বেরিয়ে যাবে
কোন এক অজানা সভ্য সমাজের খোঁজে।
যদিও রাত ভীষণ কালো,
সুদিঠির বিশ্বাস ছেলেটি আসবে।
কারণ ছেলেটি কথা দিয়েছিল।
শেষ ট্রেনের হুইসেল বেজে চলছে ক্রমাগত,
প্ল্যাটফর্মে দুটি কুকুর নিয়ন আলোয় আবেশি ঘুমে-
ঝাপসা দূরের পথে সুদিঠির চোখ
অথচ,
যে ছেলেটি প্রতিরাতে স্বপ্নের ইজারা নিয়েছিল।
সেই ছেলেটি এখনো অনুপস্থিত,
মেয়েটি তলপেটে হাত দিয়ে বুঝেছে-
অনাগত কারো উপস্থিতির কথা
অথচ,
সকালের দুরুন্ত সূর্যে আলোকিত প্রান্তর।
যখন যে যার গন্তব্যের পথ ধরেছে-
তখন রক্তাক্ত দ্বিখণ্ড দেহ পড়ে আছে প্লাটফর্মে!
রক্তের স্রোতে লাল বিছানায় সোনার প্রতিমা
প্রেমের রাজ্যে কালঘুমে সুদিঠি।
অথচ সমস্ত জীবনের ধূসর পাণ্ডুলিপি ব্যর্থ,
অস্পষ্ট আগামীর ব্যর্থ সভ্যতায়-
পুরুষত্বের ব্যর্থ রণহুঙ্কার।  
অথচ,
সাক্ষি সকালের সূর্য-
সাক্ষি মহাকাল,
সেই ছেলেটি কোনদিন আসবে না-
কারণ সে কোন মানুষ ছিল না।