পরাবাস্তব_কবিতা
..........................
নিজের সঙ্গে একা
ভরদুপুরে গ্রামের মেঠোপথে
থরে থরে ভাঁটফুল
আমাকে মনে করিয়ে দিল
জীবনানন্দের কবিতার কথা।
হাতে সময়ের স্বল্পতা
জোর কদমে হাঁটছি
শিহরিত হলো শরীর হঠাৎ
মনে হলো আমার পিছনে জীবনানন্দ।
ডিলেমা চলছে ভিতরে
কেউ কোথাও নেই
তবু পিছনে কারো মৃদু পায়ে হাঁটার শব্দ
মনেমনে চালতা ফুলের কথা ভাবছি
আমি ভিজে যাচ্ছি শিহরণের ঘামে।
হঠাৎ চোখের সামনে দৃশ্যমান
আকুন্দা গাছের সমাহার
আমাকে আরও খানিকটা ব্যাকুল করে দিল
জাম্বুরার ফুলে
কয়েকটা মৌমাছি মধু সঞ্চয়ে শশব্যস্ত
প্রজাপতির ডানায় ভর করে এলো
কয়েকটি রঙবেরঙের শব্দ
আহা! জীবনানন্দের সংস্পর্শে এলাম যেন।
কিছুটা আমাকে ভর করলো জীবনানন্দ
কিছুটা উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ
বাঁশ পাতার ভৌতিক খসখস শব্দ
আর ভরদুপুরের সূর্যকিরণে
জেগে উঠলো আমার কবিসত্তা।
আমি জীবনানন্দ হতে পারবোনা
কোনদিন বা কোনকালেই
কিন্তু তাঁর নির্জনতা ও একাকীত্ব
বয়ে বেড়াই সর্বক্ষণ চুপিসারে।
আর ওয়ার্ডসওয়ার্থ
কিছু কবিতা নিয়ে গভীররাতে
আমাকে ডাকে -
আয়রে পাগল আয়
চল হেঁটে আসি নির্জনতায় মৃদু পায়ে।


#বেনাপোল
২২/০৩/২০২১