মৃত্যুর দুয়ার থেকে গতকাল গভীর রাতে
ফিরে এসেছি
হঠাৎই আমার শ্বাসনালী কে যেন চেপে ধরেছিল
ছটপট করছিলাম , মাথাটা একপাশে হেলে পড়েছিল
কে যেন আমায় বেঁধে রেখেছিল পিছমোড়া করে , ঠিক পুলিশি কায়দায়
বাক শক্তিও ছিলনা মোটেও ;
কণ্ঠনালীর দু'পাশ যেন সুপার গ্লু দিয়ে কে আটকে দিয়েছিল
পাশেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল আমার প্রিয়তমা স্ত্রী , একমাত্র কন্যা ও একমাত্র পুত্র ।
গলার মধ্যে বিভিষিকাময় আওয়াজ শুনেই লাফিয়ে উঠেছিল আমার প্রিয়তমা স্ত্রী
আমিও উঠে পড়েছিলাম এক লাফেই
শরীর কাঁপছিল থরথর করে
তবুও মনে হলো আমার বুক থেকে নেমে গেল হিমালয় ,
ঝটপট করে আনা এক গ্লাস পানি খেয়ে ফেললাম এক নিমিষেই ।
অপ্রসস্থ আঠালো কণ্ঠনালী যেন ফিরে পেল খৈয়াছরা ঝরণার শুভ্রতা
মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসে মনে হল এ জীবনের কত দাম !
সৃষ্টিকর্তার নিকট অসংখ্য শুকুরিয়া
তিনি যমদূতকে ফিরিয়ে নিয়েছেন
এ যাত্রা বেঁচেই গেলাম ।
মা কে খুব মনে পড়ছিল , সাথে ভাই বোনদের ও আত্মীয় স্বজনদের
এখন সকাল , মেয়েকে জাগিয়ে দিলাম
আর আমার প্রজাপতির মত চঞ্চল
পুত্রধন আমাকে ও তার মাকে জাগিয়েছে

জেগেই বাবা ওথো ও বাবা ওথো বলে চুল ধরে টানাটানি করে
উঠ কে ওথো বললেও বুদ্ধিতে ভীষণ পাকা
ভাবনা আমার পিছ ছাড়ছেনা ,
মাথার উকুনের মতো রক্ত শোষণ করছে
জোঁকের মতোই লেগে আছে নিউরনের সাথে
আর সেরোটনিনগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে
ঠিক পিষাচ ধনীরা যেমন করে গরিবের রক্ত শোষণ করে এবং ছিন্নভিন্ন করে ফেলে সবকিছু
একদিন তো আসবেই অথবা এই মুহূর্তেই মৃত্যু আমাকে  গ্রাস করবে
এর যে নেই কোন সময় ক্ষণ
কেউ ছাড় পাবেনা , গ্রহণ করতেই হবে এর স্বাদ
মা আমার মৃতমুখ কী দেখতে পারবে ?
না , যে যন্ত্রণা সহ্য করে প্রসব করেছিল আমাকে ; তার থেকেও লক্ষগুন ব্যাথা- যন্ত্রণায় ভেঙে মূষড়ে পড়বে ।  
আমার স্ত্রী সন্তানেরা জীবনভোর
চোখের জলে ভাসবে ।


মোঃ আব্দুল হাফিজ
বেনাপোল
১০/০৪/২০১৭