অধ্যায়ের পরীসমাপ্তির সুখময় আবেদনগুলো অতিরঞ্জিত না হলেই বড্ড ভালো হতো। সৃষ্টির সুখময় প্রারম্ভে বচনের দৃষ্টিভঙ্গিতে নিঃশ্বাসের মঙ্গলে সঠিক আবেদনগুলো পাঠকের দৃষ্টি আক্ষেপ স্বরূপ রচিত হয়। সংবেদনশীল স্পন্দনে রচিত গল্প, কবিতা মুখরোচক ব্যাঙ্গময় সাদৃশ্য কালক্ষেপনে নগদ পয়সাঁর কেনা বস্তু। প্রতিটি সংবিধান যেমন স্পর্শকাতর, তেমনি রুপকার বিচারের উর্দ্ধে নয়। নামে কেনা বছরের প্রান্তে শ্রবন ইন্দ্রিয়ের করা গঠন প্রণালী সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রতিবার রচনাতে সারাংশের ধাপে ধাপে অনুধাবিত ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের করাঘাতে রুপায়িত হয়। রোমাঞ্চে সুখময় সার, অসার কেন্দ্রবিন্দু গতিময় সাহিত্যের ব্যাসার্ধের সমীপেষু মানবের অক্ষরজ্ঞান বস্তুতঃ নিরক্ষরের অজান্তে হয়ে যায় শক্তি খোরাকি। এর জন্যই গঠন প্রণালী নির্বাচিত উর্বর মস্তিস্কের তের মাত্রার বহিঃপ্রকাশের, জ্ঞান রসের অভিপ্রায়ে অর্থের সর্বাধিক ভূমিকা অনুধাবিক  নির্বাচন প্রণালী। চোখ খুলে প্রতিয়মান দৃষ্টান্তে বড্ড গরমিল ভাগ্যরেখা। বিধাতার কষ্টার্জিত ধরায় রবীন্দ্র প্রণালী জমিদারের জোতদার, নজরুল বিদ্রোহী, মাইকেল নষ্ট পুরুষ। যুগে যুগে মহাপুরুষ স্বর্গবাস করতেই ধরা নিয়মে এসেছে রাজা, বাদশা। ধর্মের কোলাহলে হয়েছে দখল, বিশ্বাস অর্পন ক্ষমতার  বিষক্রিয়া, দুষিত মূল্যবোধ করছে পৃথিবী গঠন। নবী কবিরা যুগে যুগে মানবরুপে চিন্তার অচিন্তনীয় কাঠামোর ভাঙনে করছে মানব সাধন, জ্ঞানের অজ্ঞানে বহুব্যাধি আক্রমনে রসাতলে গান, কবিতা বিক্রি, অবিক্রি অপরুপ অর্জন।