আঁধারে দীপিকা জ্বেলে আলো বিতরণে
সুমহান ব্রতী যাঁরা----- তাঁরা মহামতি ,
রাতের আঁধার তাঁরা করে' দূরীভূত ,
প্রভাতে বরণ করে আনে রবি-জ্যোতি ।
এ হৃদয় আকাশ জুড়ে জননী-জনক
ইন্দু-দিবাকর যেন সন্ধ্যা ও সকালে ;
তাঁদের আলোয় আমি হয়ে আলোকিত ,
উজ্জ্বল আলোক ধারা লাগিয়েছি ভালে ।
পাঠশালা জ্বেলেছিল আলোক বর্তিকা ,
হৃদয় অলিন্দ তাই হয় আলোকিত ;
সত্যব্রত গুরুদের পরশন পেয়ে--
মানবিক স্রোতধারা হয় প্রবাহিত ।
নিয়ত নমস্য তাঁরা স্মৃতির বাসরে ,
তাঁদের আশিস-ধন্য জীবন-আধার ;
আঁধারের বিভীষিকা ত্যাজ্য করে তাই--
আলোক বর্তিকা নিয়ে চলি অনিবার ।
আলোর ভুবনে আমি তাই যেতে চাই,
এ বিশ্ব-ভুবনখানি হোক উদ্ভাসিত ;
আলোর ঝরণা ধারা পড়ুক ঝরিয়া ,
প্লাবনেতে ভেসে যাক যত কলুষিত ।
আলোকের অগ্রদূত জ্বালিয়ে মশাল
মুষ্টিবদ্ধ হাতে লয়ে হোক আগুয়ান ;
নীলাকাশ ছেয়ে যাক উজ্জ্বল নক্ষত্রে
অন্ধকার থেকে তাঁরা করে যেন ত্রাণ ।
(অক্ষরবৃত্তে ৮+৬ মাত্রা)
====সমাপ্ত====