( এক )
একুশ আমায় ডাক দিয়েছে, বলছে কানে কানে----
জানো কি ভাই, তোমাদের কেউ ফেব্রুয়ারির মানে?
মান বাঁচাতে মাতৃভাষার প্রাণ দিয়েছেন যাঁরা---
রফিক সালাম বরকতেরা আজও তন্দ্রাহারা।
পারিজাতের গন্ধ পেয়ে প্রাণের ভাষার লাগি
করলো লড়াই, তাঁরাই মায়ের নিখাদ অনুরাগী।
শহীদ হয়ে মান পেয়েছেন জগত-সভার মাঝে,
শোভিত আজ বাংলাভাষা সেরার স্বর্ণ-তাজে।
জগত-সভায় বাংলাভাষার বেড়েছে সম্মান,
তবু আছে দীপের নীচে আলোর দ্যুতি ম্লান---!
হতভাগ্য যে বাঙালি মাতৃভাষার লাজে......
কলাপধারী হয়েও যদি বায়স-পুচ্ছে সাজে,
তাদের লাগি কৃপার পারা বৃদ্ধি পায় উত্তাপে,
দগ্ধিভূত হতেই হবে মায়ের অভিশাপে!
যে শহীদদের অবদানে মোদের ভাষার কদর,
জগত-সভায় উত্তরণে বাড়ছে সমাদর,
ভাষা দিবস উদযাপিয়ে সেলাম জানাই তাঁদের ;
দায়িত্বটা হয়না কো শেষ কাজ রয়েছে ঢের-----
মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে হৃদয়ে দিয়ে স্থান--
গাইতে হবে সসম্মানে এ ভাষার জয়গান ;
মনন শক্তির অভিব্যক্তির জুড়ি মেলা ভার,
সাবলীল বাংলাভাষা মোদের অহংকার।
( দুই )
অমর একুশ,প্রাণের একুশ,
একুশ মোদের অঙ্গীকার,
রক্তস্নাত অমর একুশ মান রেখেছে বাংলা মা'র;
মাতৃভাষার এ গৌরবে গর্বে ভরে মোদের বুক ,
শহীদদের সেই আত্মত্যাগে
বাংলাভাষায় পাচ্ছি সুখ ।
বাহান্নের সেই একুশ ছিলো অভিশপ্ত কালো দিন,
ফিরিয়ে দিলো শহীদেরা যুগান্তরের স্বপ্ন-বীণ ;
রফিক শফিক সালামেরা আত্মজীবন বলি দিয়ে,
মাতৃভাষা-বাংলাভাষার এনে দিলেন জয় ছিনিয়ে ;
ভাষাদিবস কদর পেলো,আজ হয়েছে বিশ্বজনীন ,
ফেব্রুয়ারির অমর একুশ তাইতো সুখ-দুঃখের দিন।
ফিরে পেলাম ভাষার কদর তাঁদের আত্মবলিদানে,
তোলপাড়িয়ে ওঠে হৃদয় সেই যে মহান অমর গানে---
"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি"
যুগ যুগ ধরে রইবে সজীব, ভুলতে কি তারে পারি!
রক্ত ধারা বয়েছে সেদিন বুড়িগঙ্গার স্বচ্ছ জলে!
রাজপথে বহে রক্তের স্রোত,
রাজধানী জ্বলে দাবানলে ;
আগুনে পুড়ে ছাই হলো কত শহীদের তাজা প্রাণ!
তাদের আত্মত্যাগের ফসলে পেয়েছি এ অবদান ।
==========