একটি মুখ, মুখোশ পরে সাজে নানান সাজে!
মুখোশটা সে বদলে ফেলে আবার মাঝে মাঝে ;
নিত্য নতুন রূপে সাজে, তাইতো চেনা দায় ,
আসল! না কি নকল ভেবে,পড়ে যাই ধাঁধাঁয় ।
মানুষ যখন সহজ ছিলো, তার নয়ন-মুকুরে--
ভেসে উঠতো আসল চিত্র , কথাও এক সুরে--
বাজতো তাহার চোখে মুখে , অভিন্ন হৃদয় ;
মুখোশ পরা মানুষকে আজ লাগে বড্ড ভয় !
কোন্ রূপে সে আসে কাছে, ভাবছি চেনা কি!
মুখোশ পরে আসল সেজে দেবেনা তো ফাঁকি!
গোলক ধাঁধাঁয় পড়ে আমার কাটলো বহুকাল ,
মানুষ কি আর সহজ হবে, ফিরবে কি আর হাল!
নকলের এই দুনিয়াতে আসল পড়ে ফাঁদে--
পদে পদে লাঞ্ছিত হয় , একলা ঘরে কাঁদে ;
আসলকেও নকল ভেবে--করি প্রত্যাখ্যান!
একই কন্ঠে নানান সুরে গাইতে শুনি গান ।
বহুরূপী সাজতো আগে জানান দিয়ে পেশা ,
এখন যারা পরে মুখোশ, সে তো সর্বনাশা নেশা ;
কালো টাকার গড়ে পাহাড় সেবকের বেশধারী,
অট্টালিকা বানিয়ে কেনে কোটি টাকার গাড়ি !
সেবক রূপের ছদ্মবেশেই প্রতারণার ফাঁদ,
মুখোশধারী ছদ্মবেশী দেয়না কাউকে বাদ ;
আসল-নকল সব একাকার একই পোশাক পরা,
ছদ্মবেশের গোলক ধাঁধায় ঘুরছে এখন ধরা।
====সমাপ্ত====