মনের ব্যালকনিতে সে মাঝেমাঝেই এসে উঁকি দিত,
গল্প কথার ছলে, কখনো গানের কলির উন্মীলনে,
আবার কখনো অনুরাগের পথ ধরে ;
এভাবে কখন সে আরো এগিয়ে এসেছে টের পাইনি ;
একদিন ছায়ামূর্তির মতো পাশে এসে দাঁড়ালো,
চোখ ফেলতেই আলেয়ার মতো পালিয়ে গেল সে ।
তারপর থেকে অধীর প্রতীক্ষা.......
একবুক মরুতৃষা নিয়ে ছটফট করতে করতে
পার করতে হলো একরাশ সময়ের মন্থর গতি ;
দুর্নিবার সে কি চৌম্বক আবেশ!
আমার আমিকে টেনে রাখতে
ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম ;
এক সময়ে ব্যর্থ চেষ্টায় এঁকে দিলাম বিরতি চিহ্ন ;
শুধু সুদৃঢ় হাতে পায়ের বাঁধনটা শিথিল করে'
নিসর্গের অনুকূলে ভাসিয়ে দিলাম আমার আমিকে ।
এভাবেই প্রকৃতির কাছে আত্ম সমর্পণ করে......
সময়ের দোলনায় দুলতে দুলতে ভেসে চলছি
অজানার পথে ; আচমকা একদিন......
প্রকৃতি আমায় পাঠিয়ে দিল
বরাভয়ের সবুজ সংকেত.....
তারপর বসন্তের এক দুপুর বেলা----
অনাহুত প্রবেশের দায় ঘনঘন হৃদস্পন্দন!
কল্পনার সেই অলিন্দ এখন বাস্তবের
অগ্নি পরীক্ষায় অবতীর্ণ ;
আমার আমিটাই এখন তাকিয়ে আছে তার
অদূরের অর্ধোন্মুক্ত গবাক্ষ পথে ;
আড় চোখের এক ঝলক উজ্জ্বলতা
আটকে গেল হৃদয়ের মণিকোঠায় ।
তারপর........
সেই উজ্জ্বলতার আলোয় খুঁজতে লাগলাম--
অনুরাগের পরবর্তী অধ্যায়গুলো ;
পেয়েও গেলাম----
রচিত হলো পাণ্ডুলিপির প্রথম আধ্যায়ের মুখবন্ধ;
একে একে শেষ হলো মহাভারতের সব কটি পর্ব,
পেরিয়ে আসতে হয়েছে অসীম ধৈর্য আর
আত্ম পীড়ন ও আত্ম সমীক্ষার এক সুদীর্ঘ সেতু ;
শেষ অধ্যায়ে স্বর্গারোহন নয়,নরক দর্শনও নয় ;
শেষ পর্বটা শেষ হলো এক সুসংযত অভিসারে ।
====সমাপ্ত====