অন্তরের  অনাবিল নিবিড় প্রকোষ্ঠ থেকে
নেতাজী শিখিয়েছিলেন আত্মত‍্যাগের মন্ত্র ;
তাঁকেই দিয়েছে বলি রাজনীতির  তাস---
ভোগবাদী ক্ষমতার প্রশাসনিক যন্ত্র!

নামাবলির হরফে লেখা পরে' গলবস্ত্র
দেশপ্রেমের ছলনা করে গদগদ চিত্তে ,
জবরদস্ত ক্ষমতার একচেটিয়া ব‍্যবসায়--
শাসকের দুরাচারে ভেজালের বিত্তে ।

দেশপ্রেমের নামে ওরা করে শুধু ভান,
ছদ্মবেশী দেশপ্রেমিকরা করে অভিনয় ;
মাতৃভাণ্ডার শূন‍্য করে তস্করের পাল
দেশ প্রেমিক বলে তারা দেয় পরিচয় ।

গণতন্ত্র হত‍্যাকারী খুনীদের দল
চৌর্যবৃত্তির রসায়নে দেখায় দরদ ;
ভিক্ষাবৃত্তির পরমান্নে বিলায় দেশপ্রেম,
শত্রুদের ছলে-বলে ঢোকায় গারদ ।

স্বৈরাচারের কুক্ষিগত করে ওরা তাই
নেতাজীর নামকে ওরা করে' কলুষিত--
করেছে আদর্শ-নীতির শব ব‍্যবচ্ছেদ!
নেতিজীর অন্তরাত্মা আজ স্তম্ভিত ।

            ==========