সমতলে কভু ক্ষেপণ করোনি তোমার দৃষ্টিপাত,
তাইতো বিক্ষিপ্ত হয়েছে সেই নিক্ষিপ্ত প্রতিফলণ ,
যে মুকুরে তুমি দেখেছো তোমার নিজস্ব ছায়াপাত--
সমতলে ছিলোনা তোমার স্থাপিত চেনা সে দর্পণ।
চিরস্থির ছিলোনা তোমার দ্বিধাগ্রস্ত হৃদয়ের পট,
দৃষ্টিশক্তির স্থূলতায় পারোনি ভেদিতে সীমারেখা ;
দোদুল্যমান ছিলো তোমার হৃদয়ের বালু-বেলাতট,
পড়তে পারোনি তুমি, অস্পষ্ট ইঙ্গিতে ছিল লেখা ।
পদ সঞ্চার করেছো তুমি চলমান দুই তরণীতে,
ভেবেছিলে এভাবেই পার হবে জীবন-তটিনী ;
চরণ ফসকে গেলো খরস্রোতের মাঝে আচম্বিতে ,
নাগালে পেলেনা তুমি চলমান কোনোই তরণী ।
জলস্রোতে ভেসে গেলে জানিনা কোথায় কতদূর!
পৌঁছাতে পেরেছো কি, তোমার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে ?
অনুভবে আমি শুনছি শুধু বিষাদের বিদীর্ণ সুর ;
ভারাক্রান্ত তোমায় করতে চাইনা কোনোই মন্তব্যে।
যদি তুমি ফিরে আসো উজানের এই পথ ধরে--
দেখবে নোঙর করা ছোটো এক জীর্ণ তরণী ;
তোমার শূন্য আসন আজো যেন তোমাকেই স্মরে,
না এলে রইবে পড়ে একা একা এ শূন্য ধরণী ।
=====সমাপ্ত====