হিংসা-বিদ্বেষে জর্জরিত বিশ্ব থরথর করে কাঁপছে ,
এক ভাইয়ের শোনিতধারায় অবগাহন করছে
আর এক ভাই !

বীভৎস হত্যা-লীলায় এতটুকু মমত্ববোধে
সিক্ত হয়না তার হৃদয় ,
হিংসা আর প্রতিহিংসার মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে
কেঁপে ওঠে প্রতিপক্ষের দুই ভ্রাতৃসঙ্ঘ ।

"বিনা যুদ্ধে নাহি দিবো সুচাগ্র মেদিনী"---
এই উদ্দেশ্য-বাণে বিদ্ধ হচ্ছে পার্শ্ববর্তী
উলু-খাগড়ার বন ; তারা শঙ্কিত ! তারা আতঙ্কিত--
প্রবহমান রক্তের স্রোতধারার তীব্রতা দেখে ।

এই স্রোতধারার উজান পথে এগোতে এগোতে
পৌঁছে গেলাম উৎসমূল---'ধর্মোত্রী' আর 'দলোত্রী'র
'হোতামুখ' গুহার পঙ্কিল গহ্বরে ,যেখানে জন্ম নিয়েছে
অগণিত শাখা প্রশাখা ।

সেখানে অঙ্কুরিত হয়েছে; আজও হচ্ছে---
অসংখ্য অন্ধ স্তাবক, যাদের শিক্ষা আর বয়সের
লাগেনা কোনো ছাড়পত্র ।

এই উৎসস্থলে আকাশ থেকে পড়ে
ঝরঝর করে টাকা আর ডলার বৃষ্টি ,
তারপর শাখা প্রশাখা বেয়ে সেই বৃষ্টির ধারা
চলে যায় দেশ বিদেশের সাগর মহাসাগরে ।

সেই লক্ষ্যেই অধস্তনদের লেলিয়ে দেওয়া হয় ,
হিংসার আগুনে উদ্বুদ্ধ করা হয়--
তাদের পাষাণ হৃদয়কে,মাঝে মাঝে উসকে দেওয়া হয়
মোহনার মহা সম্মেলনে । জ্বালিয়ে দেওয়া হয়
দাবানলের লেলিহান শিখা ।

রক্তের স্রোত বন্ধ করতে চাও ? চলো তবে---
ভরাট করে দিতে হবে দুটো উৎস মূলকেই ,
সেখানে খনন করতে হবে--
মানবতার বহমান স্রোতস্বিনী ,
যেখান থেকে প্রবাহিত হবে সাম্য মৈত্রী ,
প্রেম-প্রীতির অনাবিল সুললিত ধারা ।

          ====সমাপ্ত====