'জলের মতো সোজা' যদি বলি---
মনে হবে কাজটা যেন সহজ অঙ্ক কষা,
ভেবো না কেউ "অবাক জলপান" কাহিনীটার ছলে--
সুকুমারের রম্য রসের রাস্তায় গিয়ে পশা।
জলের চেয়ে বেশি সোজা আর কি কিছু আছে ?
তবু কিন্তু জল নিয়ে সেই হযবরল !
'জল পাই কোথা' বলতে গিয়ে পথিক---
জল না পেয়ে 'জলপাই' নিয়ে নাস্তানাবুদ হ'ল !
অন্য গল্পে জলের হদিস দিলো আর এক পথিক--
চোখের জলের,নাকের জলের,মুখের জলে' সে--
কুয়োর জলের,ডোবার জলের, দিলো কত হদিস ;
ছাতি ফেটে হলো চৌচির,পড়লো ঘোর আবেশে ।
ঘোলা করে' গর্দভ নাকি জলকে করে পান !
কাজের ভার দিলে তাকে,সে কাজ করে মাটি।
বিজ্ঞাপনে বেনো জলের ভূয়সী প্রশংসা !
তাই দেখে সব হাবুডুবু খেতে পরিপাটি !
এলোমেলো যতই বকি, আসল কথায় আসি---
জলের নামটা জীবন কেন, পিপাসায় পাই টের !
বিশ টাকাতে জলের বোতল কিনে খেতে হয় ,
জলের আকাল শুরু হলো, যদিও আছে ঢের ।
শিয়রেতে বিপদ জানি বালক-বৃদ্ধ সবাই,
তবু যদি আমরা থাকি এমন স্বেচ্ছাচারী---
তিলে তিলে মরতে হবে পানের জলের তরে !
ইচ্ছে হলেই সাবধানতায় শুধরে নিতে পারি ।
নোনা জলে ডুবে গেলে সাধের বিশ্ব-ধরা---
চোখের জলও শুকিয়ে যাবে, ভয়ে পাথর হলে ;
অত্যাচারের উষ্ণায়নে হলে বিশ্বে খরা--
জলেই ডুবে মরতে হবে বরফ গলে গলে ।
====সমাপ্ত====