কেউ না বুঝলেও,আমি তোমায় বুঝি,অনামিকা !
হৃদয়ের দাবদাহে বল্কলে আবৃত অক্ষত কাণ্ডটার
আড়ালে,ঝলসে যাওয়া কচি পাতার নবপল্লব আর--
পুড়ে যাওয়া স্বপ্নের অস্ফুট কলিগুলো
কীভাবে ঝরে ঝরে পড়ে যাচ্ছিল- - -
হৃদয় অলিন্দে উঁকি দিয়ে বিমূর্ত আমি
স্বচ্ছ মুকুরে স্পষ্ট দেখতে পেয়েছিলাম সবটা ;
কিচ্ছু বলতে পারিনি- - -
আত্মমগ্ন থেকে থেকে উড়ন্ত স্বপ্নগুলিকে
ঘুড়ির মতো ছেড়ে দিয়েছিলে দূর নীলিমায় ;
ঘুড়ির সূতোয় প্যাঁচ পড়তে দেখেও
শিথিল করোনি তুমি--
তোমার মাঞ্জা দেওয়া সুতোর লাটাই ।
উদাসীনতার খেসারত হিসেবে দিয়ে যাচ্ছিলে
জীবনের অনুপম সেই স্বপ্নগুলিকে ;
কেটে গেল তোমার হাতে ধরা লাটাইয়ের মসৃণ সুতো ।
হাওয়ার তরঙ্গে টাল খেতে খেতে ভেসে গেল ঘুড়িটা ,
একরাশ যন্ত্রণা নিয়ে তুমি চেয়ে রইলে
ভেসে যাওয়া ঘুড়িটার বিদায়ের পথে ।
তোমার হারিয়ে যাওয়া ঘুড়িটা সযত্নে কুড়িয়ে নিলো
তোমার মতোই এক কল্পরাজ্যের স্বপনচারিনী ;
তোমার মধ্যে দেখা দিল এক অদম্য অধিকার বোধ ,
অধিকারের স্বাক্ষরতা দেখাতে পারোনি তুমি ,
ছিলোনা কোনো সীলমোহরের এতটুকু নিদর্শন ।
না পাওয়ার বেদনা থেকে হারানোর যন্ত্রণা যে কত
তীব্রতর , বুঝতে পেরেছি বলেই--
সবার অলক্ষ্যে তোমায় দিয়েছিলাম অস্থায়ী অধিকার ;
স্থায়িত্বের অধিকার তুমি পাওনি ;
তুমি জানো , তা সম্ভব ছিলোনা ।
আজ যে বিরহ বেদনায় তাপিত হচ্ছো--
সে আগুনের হোতা তুমিই , অনামিকা ।
ব্যর্থতার গ্লানি মুছে ফেলো- - -
হৃদয়ে সিঞ্চন করো শান্তির বারিধারা ।
সমাপ্ত