জীবন-তরীর কান্ডারি তুমি, বিবেকের হাল ধরে--
চালাও তরণী অসীমের পানে মানবিক পারাবারে ,
উঠলে তুফান তুমিই পারো ধৈর্যের গ্রন্থি দিতে ,
তুমিই পারো জীবন ত্যাজিতে দেশের-দশের হিতে ।

তুমি হতে পারো কবির নানক, তুমি হতে পারো বুদ্ধ ,
শান্তির পারাবত উড়াতে পারো, থামাতেও পারো যুদ্ধ ;
তুমি হতে পারো পরমহংস , হতে পারো তুমি চার্বাক ,
গান্ধীবাদের অহিংস মন্ত্রে, মার খেয়ে থাকো নির্বাক।

চেতনার বলে চৈতন্য হয়ে ত্যাজিতে পারো সংসার ,
রক্তগঙ্গা বইয়ে দিতে পারো,হয়ে ধর্ষক ও দুরাচার ,
চণ্ডাশোক থেকে হতে পারো তুমিই ধর্মিক সে অশোক ;
আঁধার মনে ফুটাতে পারো নিমেষেই দিবালোক ।

যুক্তিবাদী হতে পারো তুমি ,হতে পারো গোঁড়া ভণ্ড ,
ঐক্যমন্ত্রে জুড়ে দিতে পারো,ভেঙে করো কভু খণ্ড ;
তুমিই পারো হতে মনীষী , কখনো মীরজাফর !
সংহার করো রুদ্র তেজে, আবার তুমিই সৃষ্টিধর ।

তুমিই প্রাণের চালিকাশক্তি ,তোমার ভুলেই মতিভ্রম ,
তোমার অভাবে বদ্ধ পাগল ,তুমিই গড়ো সেবাশ্রম ;
স্বচ্ছ বিবেক জাগ্রত হলে দেখায় পথের সঠিক দিশা ,
বিবেক যখন নিদ-মহলে,
                                 নেমে আসে ঘোর আঁধার নিশা।

                 ====সমাপ্ত====