হে মানস প্রতিমা আমার !
আঁধার আসবে যখন ধীরে অতি ধীরে
সন্ধ্যার দীপালোক জ্বালিয়ে তোমার
আমার ভুবনটা তুমি রাখিও ঘিরে ।


আমার সকালে তুমি নবারুণ হয়ে
প্রদীপ্ত আভায় তুমি ভরিও দিগন্ত ,
ঘুম হতে জাগাবার কাঠি হাতে লয়ে
দাও না জাগিয়ে এসে যা আছে ঘুমন্ত !


আঁচলের হাওয়া দিয়ে শ্রান্ত দেহ
জুড়িয়ে দিও গো তুমি মৃদু পায় এসে ,
শান্তির নীড় করো আমার এ গেহ
চপলতা নিয়ে তুমি মৃদু হাসি হেসে ।


দীপ্তি মাখানো ওই চোখ দুটি যেন
তারা হয়ে জ্বলে মোর আকাশের গায় ,
ঝরে পড়ে যাবে তুমি ভাবছো কেন ?
ভয় নেই এসো তুমি আলগোছ পায় ।


তোমার কৃষ্ণ-কালো কুন্তল পাশ
নিয়ে এসে মেঘ হয়ে দিও স্নাত করে ,
ফুলের মতই তোমার সুগন্ধী বাস ,
ভোমর মোহিত হয় বাগিচা ভরে ।


তোমার দুবাহু মোর পদ্ম দীঘির
মৃনাল লতিকা হয়ে সরোবর মাঝে
কর-কমলের সাথে হাসে হৃদি-নীর ,
সেথা হতে রূপসীরা সরে যায় লাজে ।


পয়োধর তট তব মোর গিরিপথ ,
চুপিসারে যাব সেথা অভিসার কালে ,
ভয় নেই এটা মোর জীবন শপথ ,
চুম্বন এঁকে দিই তোমার ভালে ।


কপাল তো নয় ওটা স্বর্গ আমার ,
পাই যেন ওই খানে এতটুকু ঠাঁই ,
পরিয়ে দিও গো মোরে প্রেম-প্রীতি-হার ,
বলো না কভুই যেন — নাই ঠাঁই নাই ।
                **********