ওগো পরিণীতা , দোহাই তোমার ! কথাটা আমার শোন—
করো না দুঃখ, ভেবো না কিছু, ভয়-ভীতি নাহি কোন ।
তুমি যে আমার প্রেমের পূজার আশীর্বাদ স্বরূপিনী ,
অক্ষয় করে রেখেছো হৃদয়ে , নও তুমি গরবিনী ।
বন্ধুর মত বিচ্যুতিগুলো দিতে চাই আমি শুধিয়ে ,
মান করে কেন আঁখিজল ফেল অঞ্চলখানি ভিজিয়ে !
ন্যায়-অন্যায় বিচার না করে ভালোবাসে জেনো যারা—
কৃত্রিমতার বিভীষিকা নিয়ে পাঁকে ঠেলে ফেলে তারা ।
স্বার্থের টানে ভালোবেসে যারা দোষ-ত্রুটি নাহি ধরে ,
অপ্রিয় হলে সত্য কথাটা তারাই গোপন করে ।
সুখের সময় তুমিই আমার হৃদয়ের ভরা উচ্ছ্বাস ,
বিপদের দিনে উপদেশ দিয়ে থাকে না তোমার অবকাশ ।
বধূয়া হয়েও মাতৃস্নেহেতে করো মোরে অভিষেক  ,
যতনে তোমার মনে হয় যেন তুমিই ভগিনী এক ।
সৌহার্দ্যতে ভাইয়ের মত ভালোবেসে যাও মোরে ,
কন্যার মত বিচলিতা হও ভঙ্গির মাঝে ওরে—
আপ্যায়নে আত্মীয়া সম উৎসুক হয়ে উঠ ,
পরিচর্যায় সেবিকার মত মানসিক ব্যাধি টুট ।
তুমিই আমার সহায় রয়েছো সংসার ধূলিজালে,
কার্যেতে তুমি উৎসাহ দিও মহা বিপদের কালে ।
কন্ঠেতে তুমি সঙ্গীত হয়ে ধ্বনিবে বিষাদে শান্তি ,
চোখের আলোয় আলোকিত করে এ দেহের হবে কান্তি ।
অতীতের তুমি স্মৃতি হয়ে আছো ,  বর্তমানের সুখ ,
ভবিষ্যতের আশালতা হয়ে ছাইবে আমার বুক ।
সহিষ্ণুতার খ্যাতি লাভ করো, পৃথিবীর মত স্থৈর্য্য,
ভাবনা  সাগরে বুদ্ধির ভেলায় বয়ে নিয়ে এসো ধৈর্য্য ।
তুমি যে আমার জীবনের ধন , মরণের পরে পুণ্য ,
কাব্য-লক্ষ্মী বধূকে তাড়িয়ে হৃদয় করো না শূন্য ।
                   *****************